গাজীপুর প্রতিনিধি
অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না অনাহারে অর্ধাহারে থাকা এক বিধবা নারী তহুরা খাতুন (৫৩)। নাকে পচন ধরলেও টাকার অভাবেই থেমে আছে তার চিকিৎসা। যেতে পারছেন না চিকিৎসকের কাছেও। তাছাড়া নেয়ার মত কোন লোকজনও নেই। তাই বিনা চিকিৎসায় ধুকছেন অসহায় এই নারী।
তহুরা খাতুন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের মৃত মোনতাজ খানের স্ত্রী। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী তহুরা। তিন বছর পূর্বে বড় ছেলে মারা যায়। এ যেন মরার উপর খাড়ার গা। অসহায় এতিম নাতিদের নিয়ে পড়েছেন আরও বিপাকে। এক দিকে চিকিৎসা করাতে না পেরে দিন দিন নাকের ক্ষত গভীর হচ্ছে অন্যদিকে নাতিদের ভরণপোষণর চিন্তা। জমি বলতে ভিটা-মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই।
তহুরা খাতুন দৈনিক অধিকারকে জানান, ২০ বছর আগে স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করতেন তিনি। করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে কাজে যেতে পারছেন না বিধবা তহুরা। জরাজীর্ণ একটি খুপরি ঘরে একাই থাকেন তিনি। বৃষ্টি আসলেই ঘরের চালার ছিদ্র দিয়ে পড়ে পানি। বৈশাখের ঝড় কাটিয়ে আষাঢ়ের বৃষ্টির মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে কাটাতে হয় তাকে।
তিনি আরও জানান, বিগত দশ বছর আগে তার নাকে ছোট্ট একটি ক্ষতের সৃষ্টি হয়। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা না করার কারণে আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেছে। তার নাকের অবস্থা খুবই খারাপ তার দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। ডাক্তার বলেছেন তাকে তিন মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে। তারপর করতে হবে অপারেশন।
আর এই অপারেশনের জন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় এক লাখ টাকা। কিন্তু টাকার অভাবে কোনো চিকিৎসাই করাতে পারছেন না তিনি। তাই দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন অসহায় এই বিধবা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড