রিয়াদ হোসাইন, মুন্সিগঞ্জ
বুড়িগঙ্গা নদীতে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মনিংবার্ড ও ময়ূর-২ লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন বেপারীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকালে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এসময় পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মানুষের নানান সমালোচনার কারণে ভেঙে পড়েছেন সুমন ও তার পরিবার।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফেরার পর হতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায় তার বাড়িতে। এরপর হতে হাজারো মানুষের হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে অস্বস্তিতে ভোগতে থাকেন সুমন। বুধবার দুপুর হতে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সুমনের মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা করছে বলে তার বড় ভাইয়ের ছেলে আরাফাত রায়হান সাকিব জানান।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বুড়িগঙ্গার তীরে দিনভর অপেক্ষার পরও যখন সুমনকে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন তারা এক রকম লাশের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার দয়ায় তাকে জীবিত ফেরত পেয়েছেন তাদের আনন্দের সীমা-পরিসীমা নেই। তবে তার বেঁচে ফেরা নিয়ে নানান সমালোচনায় মানসিকভাবে কষ্টে আছেন সুমন সহ তার পরিবার।
গত সোমবার রাতে জীবিত উদ্ধারের পর রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার রাতেই মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে ফিরে যান সুমন বেপারী। তাকে ফিরে পেয়ে বৃদ্ধ মা আমেনা বেগমসহ পরিবারের অন্যদের মাঝে যখন খুশির জোয়ার বইছে তখন বিভিন্ন সমালোচনা আর হাজারো প্রশ্ন করে তাদের অতিষ্ঠ করে তুলছেন মানুষজন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেন সুমন বেপারীর ভাই শাহজাহান বেপারী। তিনি বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় আমার ভাই আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে ফিরেছেন। আমাদের পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া। তবে ভাইয়ের এই বেঁচে ফেরা নিয়ে অনেকে নানা সমালোচনা করছে। আমাদের পরিবারকে নিয়েও নানা বাজে মন্তব্য করছে। তাহলে কি 'আমার ভাই সুমনের বেঁচে ফেরাটা অন্যায় হয়েছে? বেঁচে ফেরাটা কি তার অপরাধ হয়েছে?'
সমালোচনার বিষয়ে সুমন বেপারী বলেন, আমি এসব জানি না। হাসপাতালেও অনেক প্রশ্ন করেছে। সাংবাদিক ভাইদের বারবার আমি সবকিছু বলেছি। যে যা বলুক আল্লাহর ইচ্ছায় আমি আমার মাকে, আমার পরিবারের সবাইকে দেখতে পেয়েছি এতেই আলহামদুলিল্লাহ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড