সারাদেশ ডেস্ক
বেনাপোল বন্দরে তিন মাস আগে ভারত থেকে নিয়ে আসা পণ্য খালাস শেষ করলেও করোনার কারণে দেশে ফিরতে পারছে না ১৫০টি ট্রাক ও চালক। ফলে থাকা, খাওয়া ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। এছাড়া আটকে থাকা ভারতীয় ট্রাকের কারণে বন্দরে বেড়েছে যানজট।
এদিকে ভারতে রপ্তানি পণ্য নিয়ে যাওয়া অর্ধ শতাধিক খালি ট্রাক তিন মাস ধরে আটকা পড়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। করোনার কারণে লকডাউন চলায় ট্রাকগুলো দেশে আনা যাচ্ছে না। এতে পণ্য পরিবহন করতে না পেরে বেকায়দায় পড়েছেন ট্রাকের চালকসহ শ্রমিকরা।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাকগুলো যাতে দ্রুত দেশে আনা যায় সেজন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ চালকদের প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করছেন।
ভারতীয় ট্রাকচালক রাজা বলেন, তিন মাস আগে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে এসেছি। কিন্তু খালাস শেষ হলেও বিএসএফ করোনা রোধে আমাদের দেশে ফিরতে দিচ্ছে না। বন্দরে আটকে পড়ায় ঠিক মতো খাওয়া হচ্ছে না আমাদের। কোনো রকমে ট্রাকে রাত কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ায় পরিবারের খোঁজও নিতে পারছিনা।
বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাজু আহম্মেদ বলেন, শতাধিক ভারতীয় ট্রাক পণ্য খালাস শেষে বন্দরের শেডে পড়ে আছে। এখন আমদানি শুরু হয়েছে। বর্ষার সময় শেডের নিচে পণ্য খালাস করতে হয়। কিন্তু ভারতীয় ট্রাকের কারণে সেখানে বাংলাদেশি ট্রাক রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশি ট্রাক শ্রমিক তরিকুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে বাংলাদেশি ট্রাকচালকরা রপ্তানি পণ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ৭৫টি ট্রাক রেখে চালকদের পাঠিয়ে দেয়। ফলে ওপারে ট্রাকগুলো আটকা পড়ে আছে। এতে শ্রমিকরা পণ্য পরিবহন করতে না পেরে বেকার বসে আছেন।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, সব কিছু বেনাপোল বন্দরের ওপর নির্ভর করে না। কিছু চালক এরই মধ্যে ভারতে ফিরেছেন। যোগাযোগ চলছে, আশা করছি, দুই-একদিনের মধ্যে অন্যরাও ফিরে যাবেন।
তাদের কম-বেশি খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আর বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে শ্রমিকেরা প্রবেশ করতে না পারায় ভারত অংশে আটকে থাকা বাংলাদেশি ট্রাক ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না। ট্রাকগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাস রোধে গত ২২ মার্চ থেকে স্থল পথে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় দুই বন্দরে পণ্য নিয়ে আটকা পড়েন অনেক চালক। গত ৭ জুন থেকে এ পথে আমদানি বাণিজ্য চালু হলেও রপ্তানি এখনও বন্ধ রয়েছে।
করোনার ভয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে আটকে পড়া অর্ধশতাধিক ট্রাকচালককে নিজ দেশে ফেরত নিচ্ছে না। এছাড়া বাংলাদেশি ট্রাকচালকদেরও ভারতে ঢুকতে দিচ্ছে না। তবে এসব বাধা ভারত অংশে থাকলেও বাংলাদেশ অংশে কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড