নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতার কমতি নেই বললেই চলে। ইদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত বহিরাগত এক পুলিশ সদস্য ছাড়া স্থানীয়রা কেউ সংক্রমিত হয়নি। তবে কুষ্টিয়ার খোকসায় আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গত শুক্রবার। তারা প্রত্যেকেই ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৯ মে) কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে তাদের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তাদের বাড়ি উপজেলার বেতবাড়িয়া, জাগলবা ও শোমসপুর গ্রামে।
এ বিষয়ে দৈনিক অধিকারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয় খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রেমাংশু বিশ্বাসের।
ডা. প্রেমাংশু দৈনিক অধিকারকে বলেন, গত ২৫ মে তারা উপজেলার শোমসপুর আর জাগলবা গ্রামে ইদে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছে। আর বেতবাড়িয়ার রোগী এসেছে ২২ মে। আমরা এ তথ্য পাওয়ার পরই মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করি।
তিনি বলেন, তাদের নমুনা নেওয়া হয় ২৭ মে। আর ২৯ তারিখে তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে কুষ্টিয়া মেডিকেলের পিসিআর ল্যাব থেকে। ওইদিনই স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের এলাকা লকডাউন করা হয়।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরও বলেন, রেসপন্স টিম নিয়ে পরদিন আমি নিজে তাদের বাড়িতে গিয়ে কন্টাক্ট ট্রেসিং করি। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল, তাদের নাম জানার চেষ্টা করি। তবে তিনজন রোগীরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে আমরা লক্ষ্য করি। তাই জাতীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে ডা. প্রেমাংশু দৈনিক অধিকারকে বলেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ হাসপাতাল থেকেই দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা গতকাল (রবিবার) আরও একটি টিম নিয়ে তাদের বাড়ি যাই। তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করি। তাদের উপসর্গ বাড়লে বা অবস্থার অবনতি হলে আমরা হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিব।
এদিকে, খোকসা উপজেলায় করোনা সংক্রমণ রোধে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. কামরুজ্জামান সোহেল। নূন্যতম উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই তিনি তার টিম নিয়ে হাজির হচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই।
দৈনিক অধিকারকে ডা. সোহেল বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। প্রথমে সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব থাকলেও এখন তা মোটামুটি আছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। অনেক কিছুই আমরা কিনে ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, ঝুঁকি আছে। কারণ বেশির ভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অনেকেই তথ্য গোপন করছেন আমাদের কাছে।
এ উপজেলায় করোনার সংক্রমণ রোধে প্রশাসন ও চিকিৎসকদের সহায়তা করার আহ্বান জানান তারা। এ জন্য তারা বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সামাজিক দুরত্ব বজায়সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বানও জানান তারা।
যেকোন জরুরি প্রয়োজন ও পরামর্শ পেতে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হট লাইট নাম্বার ০১৭৩০ ৩২৪৬০৪ এ যোগাযোগ করার জন্যও অনুরোধ করেন তারা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড