নিজস্ব প্রতিবেদক
দৈনিক অধিকারে রবিবার (৩১ মে) ‘বাবাকে হারিয়ে খোকসার হাসি-খুশির মুখে নেই হাসি!’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জেরে তাদের লেখাপড়াসহ আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন খোকসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী জেরীন কান্তা।
সোমবার (১ জুন) তিনি অভিভাবক হারানো এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর কথা নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত শুক্রবার (২৯ মে) জুমার নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হতেই মানিকাট গ্রামের আশরাফ মেম্বার সমর্থিতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হোন জমজ বোন হাসি-খুশি ও রুবেলের বাবা কাঠমিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাক। পরদিন দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তিনি গ্রামের লুৎফর প্রামাণিকের ছেলে।
খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী জেরীন কান্তা দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমি ঘটনাটি পত্রিকায় পড়ে জেনেছি। আসলে দেশ এমনিতেই সংকট অবস্থা পার করছে। আর হাসি-খুশি ও রুবেলের পড়াশোনা বাদ যাবে না। ওদের পড়াশোনার সকল খরচ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। যেই ইউএনও‘ই আসুক না কেনো- এটা থেমে থাকবে না।
তিনি বলেন, আর প্রাথমিক ভাবে আমরা ওই পরিবারটিকে খাদ্য সহায়তা দিব। আর রুবেলের কলেজে ভর্তি বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই রুবেলের মাকে বিধবা ভাতার তালিকায় নাম দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য হাসি আর খুশি নামের দুই বোন পাশের মানিকাট সরকারি প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। বাবাকে হারিয়ে তারা যেন পড়েছে অথই সাগরে। অন্যদিকে হাসি-খুশির ভাই রুবেলের এসএসসির রেজাল্ট যখন প্রকাশ হলো তখন বাবার লাশ তার হাতে। মো. রুবেল হোসেন পাইকপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সদ্য এসএসসি পাশ করেছে। অভাবের সংসারে বাবার কাঠের কাজে সহায়তা করে পড়াশোনা চালাতো অদম্য রুবেল।
এসএসসিতে তার জিপিএ পয়েন্ট ৩.০৬। কিন্তু হতভাগা রুবেলের আজ বাবা-মায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাওয়া আর সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের কথা থাকলেও তার এই সময়টি কেটেছে বাবার লাশের পাশে! নিষ্ঠুর মোড়ল-মাতব্বরদের স্বার্থের কাছে হার মেনেছে রুবেলের পাশ-আনন্দ!
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড