যশোর প্রতিনিধি
প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মে) রাত ৯টার দিকে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেছেন।
মামুন যশোর শহরের খড়কি কবরস্থান পাড়ার আবুল বাশারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ব্রক্ষকাটি গ্রামে। পাইপ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত মামুনের সহযোগী আরাফত জানান, তারা দুইজনে পাইপ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা দুইজনে স্টেডিয়াম পাড়ার বটতলায় বসে গল্প করছিল। এসময় সরকারি এম এম কলেজ পাড়ার রাকিব, বক্কার, রসুল, তামিম, হৃদয়, শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার মিশু, হাজামপাড়ার সাব্বির এবং সিয়াম, মাহি, জয়, আরিফ তাদের উপর হামলা করে। এসময় মামুনের বামপাশে রানে ও মাজার বামপাশে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়।
মামুনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করে নেয়। রাত ৯টার দিকে সার্জারি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক রাহানুল ইসলাম ইমন মৃত্যু ঘোষণা করে জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মামুনের মৃত্যু হতে পারে। তার রানে ও মাজায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা দাবি করে বলেছেন, রাকিবের সাথে মামুনের পূর্ব থেকে শত্রুতা চলছিল। তারই জেরে খুন হয়েছে মামুন।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে সংবাদ পেয়ে থানার ওসি (অপারেশন) আবু হেনা মিলন ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তিনি ফিরলে সব কিছু বলতে পারবো। পরে মামুনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ওসি (অপারেশন) আবু হেনা মিলন জানান, মামুন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। কি কারণে মামুন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড