মোংলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট
বাতাসের শক্তি নিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে বাগেরহাটের মোংলায় রাতভর ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাসহ কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি প্লাবিত হয়েছে অসংখ্য চিংড়ির ঘেরও।
এ দিকে, আম্ফানের আঘাতে মোংলার পশুর নদীতে একটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডুবে গেছে বলে জানা গেছে। তবে মোংলায় এখন পর্যন্ত আম্ফানের তাণ্ডবে কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবারও (২১ মে) মোংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বলবৎ রয়েছে। একই সঙ্গে এ এলাকার উপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান দৈনিক অধিকারকে বলেন, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মাঝে বৃহস্পতিবার সকালেও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দিনে ও রাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয় ৪৮ হাজার মানুষকে। ঝড় কিছুটা কমে যাওয়ায় তারা এখন নিজ বাড়িঘরে চলে যাচ্ছেন। তবে ঝড়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের তালিকা পাওয়ার পর জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ দিকে, বন্দরের পশুর চ্যানেলের তীরবর্তী কানাইনগর, কলাতলা, সুন্দরতলাসহ বিভিন্ন জায়গার দুর্বল বেড়িবাঁধের কয়েকটি জায়গা ধ্বসে গেছে।
তবে আবহাওয়া অফিসের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের নদ-নদীর পানির উচ্চতা অনেকটা স্বাভাবিকই ছিল। ফলে মোংলাসহ আশপাশের এলাকা জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। যদিও বেড়িবাঁধ ভেঙে কিংবা উপচে জোয়ারের যে পানি বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল তা আবার ভাটার সময়ে নেমে গেছে।
আরও পড়ুন : যশোরে আম্ফানের গ্রাসে মা-মেয়ের মৃত্যু
এ দিকে, আম্ফানের তাণ্ডবে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন, লাউডোব, দুবলা ও মরাপশুর ক্যাম্পের জেটি, ঘরবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং বনের গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নৌকাডুবি বা জেলে নিখোঁজ কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড