ঝালকাঠি প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে ১০০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল। রোগী না থাকা ও নিরাপত্তার অভাবে চিকিৎসকরাও আসছেন না হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা, সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে।
সরকারি এ হাসপাতালটিতে রোগী ও ডাক্তার শূন্য থাকায় বন্ধ রয়েছে বহির্বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, ল্যাবরটারী এবং অভ্যর্থনা কেন্দ্র। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবারে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোন রোগীর আনাগোনা নেই। সেখানকার চিকিৎসকদের কক্ষগুলো তালাবন্ধ। বন্ধ রয়েছে টিকিট কাউন্টার। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীর ভিড় থাকতো, সেখানে করোনা ভীতিতে পুরোটাই রোগী শূন্য। বর্তমানে পুরো হাসপাতালটিতে বিরাজ করছে ভূতুরে পরিবেশ।
তবে নীচ তলায় জরুরী বিভাগে মাঝে মধ্যে কাটছেরা কিছু রোগী আসছেন, যাদের ব্যান্ডেজ ও সেলাই করে বিদায় দেওয়া হচ্ছে। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত হাসপাতালের স্টাফরা সেলাই ও ব্যান্ডেজের কাজ সম্পন্ন করছেন।
দ্বিতীয় তলায় ওয়ার্ডগুলো ফাকা হয়ে আছে। তবে ২/৩ জন কর্তব্যরত নার্সকে সেখানে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
এখানকার দায়িত্বরত এক নার্স বলেন, রোগী নেই তাই এখন বাসা থেকে আসি আর যাই। এক কথায় রোগীর সেবার সময়টুকু এখন আসবাব পাহাড়া দিচ্ছি। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. আবুয়াল হাসানের কাছে রোগী না থাকায় তার কক্ষটিও তালাবন্ধ রয়েছে, তবে দুপুর ১২ টার দিকে তিনি হাসপাতালে আসেন। তদারকির দায়িত্ব পালন করে আবার প্রস্থান নেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, বহির্বিভাগ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ভর্তি রোগীও ছিলো, অনেকে চলে গেছে। জরুরী বিভাগ সবসময় খোলা আছে, চিকিৎসকরাও সেবা দিচ্ছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড