বান্দরবানে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে স্কুল ভবন নির্মাণ

বান্দরবানে সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের চেমীর মুখ পাড়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর অর্থায়নে নবনির্মিত চেমীর মুখ আনু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই স্কুলের একাডেমিক ভবনের ফাউন্ডেশনে পরিমাণের চেয়ে কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকৌশলী অনুপস্থিতিতে সাঙ্গু নদীর বালু মিশিয়ে ভবনের ঢালাই করা হয়।

স্থানীয়রা ও এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে ২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি হতে ৭৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় বান্দরবানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মলিন কনস্ট্রাকশন। স্কুল ভবনটি নির্মাণ কাজের শুরুতেই অফিসের প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেন কনস্ট্রাকশনের মালিক মলিন ও এলজিইডির কাজটি দেখাশোনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রকৌশলী।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাস্টার অভিযোগ করে বলেন, টিকাদার মলিন কাজটি পাওয়ার শুরু থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেছে। শুক্রবারে আমরা স্কুলে না থাকা অবস্থায় সিমেন্ট কম দিয়ে ও লোকাল বালু ব্যবহার করে ঢালাইয়ের কাজ করে থাকেন। আমার জানা মতে ভবনটির গ্রেড বিম করার সময় প্রায় ১শত ব্যাগ সিমেন্ট কম দেওয়া হয়েছে এবং ভবনটিতে নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মলিন কনস্ট্রাকশনের মালিক মলিন বলেন, কাজটি আমি টেন্ডারের মাধ্যমে পেয়েছি। আমি কাজটি ঠিকভাবে করার চেষ্টা করছি।

কাজটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর উপজেলা (এলজিইডি) অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী আমানুর রহমান বলেন, আমাদের কাজ ১০০% ভালো হবে তা বলব না। আমরা কাজ দেখতে সব সময় যেতে পারি না। এই ঠিকাদার মলিনের কাজ দেখতে আমার ভালো লাগছে না। কারণ তার আচার-ব্যবহারও তেমন ভালো না। সেটা ঠিক আমি উপস্থিত না থাকা অবস্থায় ঠিকাদার হয়তো কাজে একটু এদিক সেদিক করতেই পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে (এলজিইডি) জেলা অফিসের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন বলেন, সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার রবিউল অসুস্থ থাকায় কাজটি আমিও উপসহকারী প্রকৌশলী আমানুর রহমান দেখছি। কাজটি তো সমস্যা হওয়ার কথা না। রিপোর্ট করলে করেন, আমাদের কাজ আমরা করব, কোনো ক্ষতি হবে না।

ওডি/জেএস