বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কিশোরী ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ধর্ষকের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেড়েরবাড়ি গ্রামের আজাহার আলী পাইকাড় (৬০) এবং একই গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে ও ধর্ষকের বাবা ফজলুল বারী (৪৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের ফজলুল বারীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৮) প্রতিবেশী এক কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় ২০১৯ সালের ১৫ মে দুপুরের সুযোগ বুঝে মেয়েটি ধর্ষণ করে মেহেদী।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে যান মেয়ে ও তার মা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান তাদের বিচার না দিয়ে ঘটনাটি ধামাচামা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর ধর্ষণের শিকার মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর চলতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি সন্তানের জন্ম দেয় সে। বিষয়টি জানার পর থেকে মেহেদী পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মেহেদী হাসান ও তার বাবা ফজলুল বারী এবং ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকারকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের বাবা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকার বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বিচার চেয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ধর্ষককে শনাক্ত করা সম্ভব না। তাই মেয়েটিকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপরও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির ইন্ধনে আমাকে ধর্ষণ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড