এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী
ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এসব সড়কের ইট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দাদের। সড়ক মেরামতের টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ শুরু হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত লেমুয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খোদ লেমুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন নাসিমের বাড়ির পাশে সড়কটিরও বেহাল দশা।
সড়কটি ভাঙার তাকিয়া থেকে মমতাজ মিয়ার বাজার পর্যন্ত। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ লেমুয়া বাজার ও মমতাজ মিয়ার বাজারে আসা-যাওয়া করে।
সড়কের বেহাল দশার কারণে অনেকে স্কুল-কলেজ ও অফিসে যথাসময়ে পৌঁছাতে পারেন না। খানাখন্দকে রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা উল্টে গিয়ে অনেক যাত্রী আহত হন। সিএনজি অটোরিকশা চালকরা নিজেদের টাকা দিয়ে গর্তগুলো মেরামত করেন।
একটি সূত্র জানায়, তেরবাড়ীয়া থেকে মমতাজ মিয়ারহাট সড়কটি মেরামতের জন্য ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবু সড়কের কাজ শুরু হয়নি। কাজের দায়িত্ব পান শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানেআলম।
এ সড়কটি ছাড়াও লেমুয়া ইউনিয়নের অপরাপর সড়কগুলোর একই চিত্র। এলজিএসপি, টিআর কাবিখা ও উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্দসহ বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দ আসলেও সড়কগুলো মেরামত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীর।
একই চিত্র লেমুয়ার অন্য সড়কগুলোর।
স্থানীয় হাসমত আলী বলেন, লেমুয়া মমতাজ মিয়ারহাট রাস্তার ১৫ বছরেও কোনো কাজ হয়নি। রাস্তার পিচ উঠে গেছে। গাড়িতে যাতায়াতে কোমর ব্যথা হয়ে যায়।
ব্যবসায়ী আলী মনসুর সুমন জানান, মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় চলাচল করা খুবই কষ্টকর। গর্তে পড়ে গাড়ির চাকা নষ্ট হয়ে যায়।
লেমুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘আমার সময়ে কাজ করার পর আর কোনো কাজ হয়নি। বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ উদ্দিন নাসিম কোনো কাজই করেননি বলে দাবি তার।’
আরেক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমদ কোরেশী জানান, ২০০৩ সালে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর মহাসড়কের ভাঙ্গার তাকিয়া থেকে মমতাজ মিয়ার হাট পর্যন্ত সড়কটির কাজ করিয়েছেন। বর্তমানে এ সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
লেমুয়া ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নিজাম উদ্দিন বাচ্চু জানান, চেয়ারম্যান লেমুয়া ইউনিয়নের সড়কের কোনো কাজই করছেন না। বরাদ্দকৃত টাকা ও ইউনিয়ন হোল্ডিং ট্যাক্স ইচ্ছে মতো ব্যবহার করছেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য অজি উল্যাহ বলেন, বরাদ্দ না থাকায় লেমুয়ার গ্রামীণ সড়কগুলোর কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : বসতঘরের ভেতর ঝুলছিল ছেলের মরদেহ
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ উদ্দিন নাসিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ১১টি সড়কের কাজ হয়েছে। আরও তিনটি সড়কের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড