দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিদ্যালয় মাঠে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন ওই স্কুলের দপ্তরি, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আবু সৈয়দ এ শাহীন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের নওখৈর বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
জানা গেছে, ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ১২ ফেব্রুয়ারি চিরিরবন্দর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির আলোচনার মাধ্যমে ওই বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি নতুন শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম নয়ন, ওই কমিটির অভিভাবক সদস্য রেজাউল করিম ও দেলোয়ার হোসেন হঠাৎ করে অজ্ঞাত কারণে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় বাধার সৃষ্টি করে।
দপ্তরি শাহীনুর ইসলাম জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য কমিটির সবাইকে শুক্রবার সকালে আসার জন্য বলা হয়েছিল। আমি সবকিছু রেডি করেছিলাম। সকালে সবাই এসেছে কিন্তু তারা শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য নয় তা বন্ধের জন্য। শহীদ মিনার হঠাৎ করে তৈরি কেন হবে না কমিটির সভাপতির কাছে জানতে চাইলে ওই এলাকার সাজিপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুর সাত্তারের ছেলে আবু হাসনাদ মুক্তা (৪৫), মৃত আব্দুর কাদেরের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), ওয়েদ আলী শাহের ছেলে আব্দুর রউফ স্বপন (৪৪) এর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। এ সময় আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলী এগিয়ে আসলে তাকেও অসম্মান করে তারা। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম নয়ন জানান, আমি শহীদ মিনারের কাজ একবারে বন্ধ করতে বলিনি। শহীদ মিনার নির্মাণ হবে কমিটির সাথে স্কুলের সবাইকে আবার বসতে হবে তারপর। দপ্তরি শাহীন ওই সময় আমাকে মারতে চেয়েছিল, তাই ক্ষিপ্ত হয়ে সবাই তাকে মারধর করেছে।
ওই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছা. জেসমিন খাতুন জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি মিটিংয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলের মাঠে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা বলেন। পরে যা ব্যয় হবে তা বিল করে দেওয়া হবে। কিন্তু কী কারণে কমিটির সভাপতি এটি বন্ধ করল আমি বুঝতে পারতেছি না।
আরও পড়ুন : সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও একজনের লাশ উদ্ধার
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমজিএম সারোয়ার হোসেন জানান, ২১শে ফেব্রুয়ারির আগে সব স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে। সভাপতি হঠাৎ করে কেন বিদ্যালয় মাঠে শহীদ মিনার নির্মাণে বাধা দিয়েছে, এ ব্যাপারে আগামী রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই স্কুলে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড