লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষা সফরে গিয়ে রহস্যজনকভাবে ফৌজিয়া আফরিন সামিউন (৭) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফৌজিয়া লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের বেসরকারি স্কুল ইলেভেন কেয়ার একাডেমির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে স্কুলটির সামনে অ্যাম্বুলেন্সে নিহত ছাত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যান শিক্ষকরা। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লার ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শিক্ষকদের অবহেলা আর অযত্নের কারণে ফৌজিয়া মারা গেছে। তবে শিক্ষকদের দাবি, ঠান্ডায় খিঁচুনি উঠে তার মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফৌজিয়া আফরিন সামিউন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড সমসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দা এবং কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর থেকে ইলেভেন কেয়ার একাডেমির বার্ষিক শিক্ষা সফরে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফৌজিয়া কুমিল্লার ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে যায়। এ সফরে ফৌজিয়ার মা-বাবা অংশগ্রহণ করেননি। সকালে ফৌজিয়াকে শিক্ষকদের দায়িত্বে সফরের জন্য রেখে যান তার বাবা। অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বনভোজনে গেলেও ফৌজিয়ার মা-বাবা কেউই যাননি। তার অন্য কোনো সহপাঠীও বনভোজনে যায়নি। ফৌজিয়া বিকালে পার্কের একটি পুলে পানি নিয়ে খেলা করে। পরে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
তবে শিক্ষকদের দাবি, প্যারাডাইস পার্কের একটি পুলে হাঁটু পরিমাণ পানিতে ফৌজিয়া অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলাধুলা করে। পরে তার ঠান্ডা লেগে খিঁচুনি ওঠে। এ সময় সে বমিও করে। তাকে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
এ দিকে স্কুল ছাত্রীর বাবা গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষকদের অবহেলার কারণেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়েকে একা ছাড়তে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকরা দায়িত্ব নেওয়ায় আমি তাকে শিক্ষা সফরে যেতে দিয়েছি। এখন আমার মেয়ে নেই।’ এ ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইলেভেন কেয়ার একাডেমির অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বনভোজনে শিশুদের প্রতি দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল না। তবে ঠান্ডাজনিত কারণে ফৌজিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন : শ্বশুরবাড়িতে সংবর্ধিত ড. হাছান মাহমুদ
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার এসআই প্রেমানন্দ বলেন, ‘শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্কুলে যাই। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাউকে স্কুল ছাত্রীর লাশের কাছে পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।’
ওডি/জেএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড