সরকারি রাস্তা ৬ পরিবারের দখলে

প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সহজ পারাপার ও কানসাট এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঘিতলা এলাকায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৫শ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করে শিবগঞ্জ উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই ব্যবহারহীনভাবে পড়ে আছে। কালভার্টের ওপরে শুকানো হচ্ছে খড়ি ও খড়কুটা।

সরেজমিনে কানসাট ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘিতলায় গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটির পূর্ব দিকে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও পশ্চিম দিকে সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে জালাল উদ্দিন, তৈয়ব আলী, রুপচান, বারিক শুকমার ও শফিকুলসহ ৬টি পরিবার। তারা সরকারি রাস্তা না ছাড়ায় চলার পথ করে দিতে পারেনি শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর। ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, কালভার্টটির পশ্চিম পাশে একটি নূরানী মাদরাসা ও বাঘিতলা বাজার রয়েছে। যাদের একমাত্র চলার সহজ রাস্তা ওই কালভার্টটি। বিশেষ করে ওই নূরানী মাদরাসায় প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের একমাত্র চলার সহজ রাস্তাটি। কিন্তু রাস্তা দখল করে বাড়ি তৈরি করায় তাদের যাতায়াতের পথটি বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল, মিল্টন ও মতিউর জানান, জনগণের সহজ চলাচল ও দুর্ভোগ কমাতে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। ৫০ লাখ টাকার কালর্ভাটটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে আরও দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয়দের। তাই দ্রুত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সড়কটি উন্মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী।

সরকারি রাস্তা দখল করার কথা স্বীকার করে জাহান, রুপচান ও শফিকুল জানান, আমরা সরকারি রাস্তা ছেড়ে দিতে প্রস্তত আছি। তবে সরকারিভাবে আমাদের পুনর্বাসন করলে পরিবারগুলোর উপকার হতো।

আরও পড়ুন: শিশুকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় থানায় মামলা

এ বিষয়ে কানসাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেনাউল ইসলাম জানান, কালভার্টটি নির্মাণের পরই ইউপি নির্বাচনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তারপর আর এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনে সঙ্গে কথা বলে রাস্তাটি ব্যবহারে ব্যবস্থা করা হবে।

জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান,‘কালভার্ট আছে রাস্তা নাই’এটি মূলত ইউপি চেয়ারম্যানের দেখার কথা। তার পরেও আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

ওডি/এসএএফ