• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জরাজীর্ণ টিনশেড ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান, মিলছে না সহায়তা

  চন্দনাইশ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

২২ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৪১
জরাজীর্ণ টিনশেড ভবন
জরাজীর্ণ টিনশেড ভবন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

জরাজীর্ণ টিনের ছাউনি, ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে এবং রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পাঠদান চলছে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ‘দোহাজারী রায়জোয়ারা ইসলামিয়া নজিরিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদরাসায়’।

স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সহায়তায় ১৯৭৫ সালে নির্মিত টিনশেড ভবনের চালে মরিচা ধরেছে। মরিচা ধরা এই টিনশেড ঘরে প্লাইউড দিয়ে বিভক্ত করে সাতটি কক্ষে শুরু হয় পাঠদান। বিভক্ত করা এসব শ্রেণিকক্ষে অতিকষ্টে চলে পাঠদান। দুইটি কক্ষ আবাসিকে রূপান্তর করে সেখানে ১৫ জন ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দরজা-জানালার ভগ্ন দশার কারণে কক্ষ দুইটিতে অতিকষ্টে রাত্রিযাপন করেন আবাসিক ছাত্ররা। এতিমখানা ও আবাসিক কক্ষের ছাত্রদের খাবার তৈরির জন্য একটি কক্ষ ব্যবহৃত হচ্ছে রান্নাঘর হিসেবে।

দীর্ঘদিনের পুরনো মাদরাসা ভবনের নাজুক অবস্থা সম্পর্কে মাদরাসার সুপার মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ইসলাম নক্সবন্দী বলেন, ‘মরিচা ধরা টিনের চালা ভেদ করে রোদ পড়ে, আবার বৃষ্টি আসলে ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। তাছাড়া অনেক ছাত্র-ছাত্রী হওয়ায় অতিকষ্টে বসতে হয়। টিনশেড ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অর্থাভাবে এগুলোর সংস্কারও করতে পারছে না মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ টিনশেড ভবনেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। এ কারণে মাদরাসাটিতে প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে মাদরাসাটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা সাড়ে ৩০০ জন।

শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, মাদরাসা ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। শ্রেণিকক্ষগুলো টিনের হওয়ায় গরমের সময় টেকা দায়। বৃষ্টির সময় টিনের চালের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। মেঝেতে পানি পড়ে কাদা হয়ে যায়। ফলে ক্লাস নিতে পারেন না শিক্ষকরা। দরজা জানালার অবস্থাও খুব খারাপ।

আরও পড়ুন : সিলেটে ডাকাত সর্দারসহ সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেপ্তার

এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চন্দনাইশ উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার বিপিন চন্দ্র রায় বলেন, ‘মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত নয়, পাঠদানের জন্য আমাদের কাছ থেকে তারা বই নিয়ে যায়। এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা পুরনো ভবন সংস্কারের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জনপ্রতিনিধি অথবা স্থানীয় বিত্তশালীদের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সংস্কারের পরামর্শ দেন তিনি।’

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড