• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পানি শোধনাগারের পাশেই ভাগাড়!

  হেলাল হোসেন মাগুরা

১২ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৩৯
মাগুরা
পানি শোধনাগারের পাশেই ময়লার ভাগাড় (ছবি : দৈনিক অধিকার)

আর্সেনিক ও আয়রনমুক্ত খাবার পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে মাগুরা পৌরসভার শিমুলিয়ায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে পানি শোধনাগার। আর পানি শোধনাগারের পাশেই রয়েছে পৌর এলাকার বর্জ্য ফেলার জায়গা। এতে পানির দূষিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

মাগুরা-যশোর সড়কের পাশে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে পানি শোধনাগারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। শেষ হয় ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে এই প্রকল্পের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। গত ০৮ জানুয়ারি প্রকল্পটি পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এখান থেকে পৌরসভার ৪, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদিন দুই ধাপে ১০ ঘণ্টা পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে পৌর এলাকার সকল বর্জ্য ফেলার জায়গা সংলগ্ন এলাকায়। ফলে পচা দুর্গন্ধে এলাকাবাসী রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে অতিষ্ঠ। তাছাড়া ময়লার গন্ধে খাবারের সন্ধানে পাখি, কুকুর, শুকরের রয়েছে অবাধ বিচরণ। পানি শোধনাগার যেহেতু খোলা অবস্থায় ফলে উড়ন্ত পাখির বিষ্ঠা ও বাতাসে পানি অতি সহজেই দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা পানি ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

এলাকাবাসী জানান, পানির বিশুদ্ধতার বিষয়টি না জেনেই বাধ্য হয়ে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করছে তারা। অনেকে এ পানি শুধু ব্যবহারিক কাজে লাগান এবং খাবারের জন্য টিউবওয়েলের পানি পান করে থাকেন।

তারা আরও জানান, ময়লার ভাগাড় থেকে অনেক সময় পাখি উড়ে এসে আবর্জনা খায়, আবার ঠোঁটে করে পানি শোধনাগারের উপর দিয়েও নিয়ে যায়। যা মাঝে মাঝে পড়েও যায় পানিতে। অচিরেই এটা সরানো না হলে অনেকেই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই এলাকাবাসীর দাবি ময়লার ভাগাড় সরিয়ে দূরে কোথায় নিয়ে যাওয়া হোক।

মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে এই এলাকার মানুষ পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত পাবে। পানিতে পূর্বে যে পরিমাণ আয়রন ছিলও তা আর থাকবে না। তবে ময়লার বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।

আরও পড়ুন : ব্যাংকের নারী কর্মীরা পাচ্ছেন ৬ মাসের ছুটি

এ বিষয়ে মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এটিকে একটি প্রকল্পের আওতায় এনে অতি দ্রুত সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।

ওডি/জেএস

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড