মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞানচর্চাকারী ও আইন প্রতিষ্ঠাকারীরা চিরঞ্জীব। বিক্রমপুরে এমন ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর। হিংসা, বিদ্বেষ ও অজ্ঞতা হচ্ছে সংঘাতের জন্য দায়ী।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গণে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের দ্বিতীয় সম্মেলন ও জ্ঞানালোক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য সীমা গত দশ বছরে ৪২ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতি নয়, সাংস্কৃতিক অর্জনও থাকতে হবে। আমাদের সব ভালো অর্জন দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে ও কবি ঝর্ণা রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মাহবুবে আলম বলেন, এক সময় বিক্রমপুর ছিল জ্ঞানচর্চার আধার। এখানে জ্ঞান তপসীরা জন্মে ছিলেন। প্রাচীনকালে বিক্রমপুরে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি চাই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম, পরিচয় ও অবদান এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হোক।
আরও পড়ুন : মন্ত্রিত্ব ছেড়ে নির্বাচনি প্রচারণা চালান, কাদেরকে ফখরুল
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, লৌহজং উপজেলার আহ্বায়ক কবির ভূঁইয়া প্রমুখ।
আলোচনা শেষে জ্ঞানালোক পুরস্কার প্রদান করেন অতিথিরা। ২০১৮ সালের জ্ঞানালোক পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো। ২০১৯ সালের জন্য দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন মনোনীত হন।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড