• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

'এতদিনে হয়তো ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে'

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৩৬
কলেজছাত্রী
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের অপহৃত মেয়ে শান্তা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজার থেকে অপহরণের পর সাত মাস অতিবাহিত হলেও কলেজছাত্রী শান্তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ এই সময়ে মেয়েকে খুঁজতে প্রশাসনসহ সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন শান্তার বাবা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু তবুও মেলেনি কলেজছাত্রী শান্তার সন্ধান।

এ দিকে, মেয়ের বেঁচে থাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, ‘এতদিনে হয়তো ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে, আর নয়তো বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।’

যুদ্ধাহত এই মুক্তিযোদ্ধা আরও জানান, ‘অপহরণকারীরা আমার নিকটাত্মীয়। কয়েকবার ওরা শান্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু যার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে ভবঘুরে, কোনো কাজকর্ম করে না। এজন্য আমি রাজি হয়নি। পরে ওরা আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আমি মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রধান আসামিসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা খেয়েছে পুলিশ। ফলে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এর আগে মামলার ৩ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি আমিন উদ্দিন হালদারকে শ্রীনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করলেও টাকা খেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এজন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম। যুদ্ধে গিয়ে আহত হয়েছি, এখন স্বাধীন দেশে মেয়ের বিচার পাচ্ছি না। আমি এতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘বাদী আমাদের আসামি ধরতে কোনো সহযোগিতা করছে না। তারপরও আমরা এক আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে শান্তা তার নিজ বাড়ি উপজেলার চাষি বালিগাঁও গ্রাম থেকে ফুফু শাহানা বেগমের সঙ্গে পাশের বালিগাঁও বাজারে ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিল। এ সময় বাজারের পূর্ব পাশে পৌঁছালে শান্তাদের নিকটাত্মীয় ও শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দি গ্রামের খবির হালদার, সাব্বির হালদার এবং আমিন হালদার গংরা শান্তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ১৮ জুন শান্তার বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপহরণের সাত মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও শান্তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

শান্তা ঢাকার সাভার উপজেলার ‘সাভার বেজপা হাইস্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে বাবা-মায়ের সঙ্গে সাভারের গাজিরচট এলাকায় বসবাস করত। কলেজ ছুটিতে গ্রামের বাড়ি টঙ্গীবাড়ী উপজেলার চাষি বালিগাঁও গ্রামে বেড়াতে আসলে তাকে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড