রেজাউল করিম রাসেল, কুমিল্লা
খোলা আকাশের নিচে থেকে নষ্ট হচ্ছে মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন। কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশন উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে বিশাল জায়গাজুড়ে রাখা হয়েছে জাতীয় এ সম্পদ। বছরের পর বছর ওয়াগনগুলো পড়ে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। রোদ-বৃষ্টিতে মরিচা ধরে এগুলো যেমন ধ্বংস হতে বসেছে, তেমনি সীমানা প্রাচীর না থাকায় প্রায় রাতেই চুরি হচ্ছে রেলের এই সম্পদ।
যে জায়গায় ওয়াগানগুলো রাখা হয়েছে সে স্থানটি দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে এই ওয়াগানগুলোতে আগাছা জন্মে ঝোপঝাড়ে রূপ নিয়েছে। এতে যেমন রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে তেমনি পড়ে থাকা এসব ওয়াগন বগির ভেতরে চলছে মাদকসেবনসহ অসামাজিক কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলে ব্যবহারের অনুপযোগী যেসব ওয়াগন রয়েছে তা একটি স্থানে রেখে সময় বুঝে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে এগুলো পড়ে থাকায় তা নষ্ট হতে থাকে এবং মূল্য কমতে থাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাকসাম রেলওয়ে জংশন পূর্ব দিকে জঙ্গলে ডাকা ১৪টি বগির বেশির ভাগই মরিচায় আক্রান্ত। আবার ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে কোনোটি। অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে মূল্যবান সব যন্ত্রাংশ। চুরি হয়ে যাচ্ছে দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। আর এসবের মধ্যে বসছে অসামাজিক কার্যকলাপ, ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিদের আড্ডা।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান তালুকদার জানান, পরিত্যক্ত এসব ওয়াগনসহ রেলের যন্ত্রপাতি দেখাশোনার দায়িত্ব প্রধান ট্রেন পরীক্ষক ও প্রকৌশল বিভাগের। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।
লাকসাম ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী প্রধান রেলযান পরীক্ষক মো. হাসিম উদ্দিন বলেন, ১৪টি মধ্যে ৮টি কনডেম হয়েছে বাকি ৬টি কনডেম হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। সবগুলো হয়ে গেলে ‘দরপত্রের মাধ্যমে এসব বিক্রি করা হবে। তবে কবে নাগাদ হবে তা বলতে পারছি না।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড