• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেরপুরে ২০০ গজের মধ্যে তিন ব্রিজ

  শাকিল মুরাদ, শেরপুর

১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:২৫
একই স্থানে তিনটি ব্রিজ
একই স্থানে তিনটি ব্রিজ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

শেরপুরের নকলা উপজেলার চরমধূয়া নামাপাড়া এলাকায় ২শ গজের মধ্যে তিনটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে এসব ব্রিজ নির্মাণ করায় কোনোটিই কাজে আসছে না। ফলে এটি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চরমধূয়া নামাপাড়া এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদের বিধ্বস্ত তীর কাম সড়কে ২শ গজের মধ্যে তিনটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এবারের বন্যায় তিনটি ব্রিজের মধ্যে একটি ভেঙে গেছে। বাকি দুটির সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। এ অবস্থায় অপরিকল্পিত ব্রিজ নির্মাণকে অনেকেই কাণ্ড জ্ঞানহীন কাজ বলে অবিহিত করেছেন। সূত্র জানায়, ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় ২০১১-১২ অর্থবছরে শেরপুরের নকলা উপজেলার চরমধূয়া নামাপাড়া এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৩৩ ফুট ব্রিজে ব্যয় হয় ২২ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৭ টাকা। এর কিছুদিন পর একই স্থানে অর্থাৎ আগের ব্রিজের একটু দূরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় দ্বিতীয় ব্রিজটি। এরপর দ্বিতীয় ব্রিজের আরেকটু দূরে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুটের আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।

তবে তিনটি ব্রিজের কোনোটাই মজবুত না করায় বেশিদিন টেকসই হয়নি। নির্মাণের কয়েক মাস না যেতেই বন্যায় একটি ব্রিজ ভেঙে যায়। ফাঁটল ধরে আরেকটিতে। সেই সঙ্গে ধসে যায় তিনটি ব্রিজের সংযোগ সড়কের মাটিও। এতে সরকারের প্রায় ৯৩ লাখ টাকার কোনো কাজই আসছে না। ব্রিজ ও রাস্তা ধসে যাওয়ার ফলে দুধে রামচর, চরমধূয়া নামাপাড়া, কাজিয়ারচর, জামালপুরসহ সাত-আটটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা কৃষক আজগর আলী, মোখলেছ মিয়া, কলেজ শিক্ষার্থী রবিন মিয়া বলেন, এখানে অযথা তিনটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। যা আমাদের কোনো কাজেই আসছে না। ব্রিজ যখন করতে আসে, তখন আমরা বাঁধা দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্মকর্তারা আমাদের কথা শোনেনি। আমরা চাই এখানে তিনটি ব্রিজ না দিয়ে একটু উঁচু করে একটা ব্রিজ দিয়ে সরাসরি রাস্তা নির্মাণ করা হোক। তাতে করে এ এলাকার মানুষ খুব সহজে এর সুফল পাবে।

স্কুল ছাত্র অনিক, জোবায়ের হোসেন বলেন, আমরা বর্ষাকালে পানি থাকায় ভিজে কাপড়ে স্কুলে যাই। এজন্য আমাদের জ্বর-ঠান্ডা লেগেই থাকে। এখানে ব্রিজগুলো ঠিক করা খুবই জরুরি। যাতে আমরা সহজেই স্কুলে যেতে পারি।

নকলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন রাস্তাসহ আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এতে সুফল পাবেন এ এলাকার মানুষ।

নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, খুব শীঘ্রই ওই এলাকার জনগণের যাতায়াতের জন্য সড়কটি সংস্কার করা হবে।

ওডি/ এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড