ফিল্মি স্টাইলে কলেজছাত্রীকে তুলে নিতে গিয়ে ধরা খেল যুবক

ফিল্মি স্টাইলে এক কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টাকালে লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় রাজু আহমেদ (৩২) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত রাজু আহমেদ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার পূর্ব বটতলী এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে ওই কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় রাজু। এ সময় ওই ছাত্রীর মা-বাবার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রাজুকে ঘেরাও করে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানালে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত রাজুকে আটক করে।

এ দিকে, ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর বাবা মো. আবদুল মতিন অভিযোগ করেন, ‘রাজু গতকাল (২১ নভেম্বর) বাড়িতে এসে আমাদের মারধর করেছে। এ সময় সে আমার মেয়েকে তুলে নিতে চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। এমনকি তার দেওয়া আল্টিমেটাম না মানলে আমাদের হুমকিও দেয়। সেই সূত্রে আজ সে আমার মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।’

জানা গেছে, ২০০৯ সালে সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলমের বড় ছেলে মাহফুজের সঙ্গে একই উপজেলার পূর্ব বটতলী গ্রামের আবদুল মতিনের বড় মেয়ের বিয়ে হয়। মাত্র দেড় বছরের মধ্যে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে তাদের দুইজনেরই অন্যত্র বিয়ে হয়। ফলে দুই পরিবারের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল, তা পুরোপুরি ছিন্ন হয়।

সম্প্রতি রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহ আলমের ছোট ছেলে রাজু আহমেদ পূর্ব বটতলী গ্রামে গিয়ে আবদুল মতিন ও তার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। রাজুর দাবি, মতিনের যেকোনো একটি মেয়েকে তার হাতে তুলে দিতে হবে। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার সে তাদের বাড়িতে এসে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে যায়। পাশাপাশি আল্টিমেটাম না মানলে আবদুল মতিনের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নেবে বলেও হুমকি দিয়ে যায় সে। এক পর্যায়ে শুক্রবার বিকালে পূর্ব বটতলী গ্রামে গিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় রাজু।

কলেজছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টাকালে যুবককে আটকের সত্যতা স্বীকার করে চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন দৈনিক অধিকারকে জানান, কলেজছাত্রীকে তুলে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া যুবক রাজু আহমেদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ওডি/আইএইচএন