• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অস্ত্র কারখানায় অভিযান, ২০টি অস্ত্রসহ ডাকাত সর্দার গ্রেফতার

  রাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

২০ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৫৬
অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র
অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র (ছবি : দৈনিক অধিকার)

চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির একটি কারখানায় পুলিশের অভিযানে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ডাকাত আলমগীরকে (৪১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ২০টি অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোররাতে উপজেলার পূর্ব রাউজানের রাবার বাগান সংলগ্ন ঘোড়া শামসুর টিলা এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতার আলমগীর রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজান এলাকার সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির মোহাম্মদ আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

অভিযানে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেপায়েত উল্লাহ, উপপরিদর্শক (এসআই) সাইমুল ইসলাম, কনস্টেবল কামাল, হামিদ হোসাইন আহত হন। আহতদের রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে- ১০টি দেশি শর্টগান, ছয়টি দেশীয় পাইপ গান, তিনটি দেশি একনলা বন্দুক, একটি গ্যাস গান সদৃশ অস্ত্র, পুরাতন ম্যাগজিন একটি, সাতটি কার্তুজ, সাতটি কার্তুজের খোসা, দেশি একনলা বন্দুকের তিনটি অংশ, কাঠের বাট ২৭টি, ছোট লেদ মেশিন একটি, তৈলের পাম্প বক্স একটি, হ্যান্ড ড্রিল মেশিনসহ আরও বেশকিছু অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ডাকাত সর্দার আলমগীরের নামে রাউজান, পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় খুন, ডাকাতি ও অস্ত্রমামলাসহ মোট ১৭টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে রাউজান থানা পুলিশ।

চিকিৎসা শেষে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেপায়েত উল্লাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, রাউজানের পূর্ব রাউজানের একটি দুর্গম পাহাড়ে ঘোড়া শামসু টিলার ওপর কিছু লোক দেশি অস্ত্র তৈরি করে বিক্রি করছে- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাউজান থানার একদল পুলিশ সেখানে রাত পৌনে তিনটার দিকে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আলম ডাকাতসহ তার অনুসারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ১৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাঁচ রাউন্ড গুলি করে।

বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময় শেষে এ সময় আলম ডাকাত তার হাতে থাকা অস্ত্র ফেলে দিয়ে ধারালো ছুরি হাতে নিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেপায়েত উল্লাহ তাকে ধরে ফেললে সে ওসির হাতে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও ডাকাত আলমের সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

পরে আহতাবস্থায় রাউজান থানার ওসিসহ চার পুলিশকে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় ফিরলেও ওসির আঘাত বেশি হওয়ায় তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন জানায়, ডাকাত আলম এলাকায় ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক। সে কয়েকমাস আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে এই অস্ত্র তৈরির কারখানাটি গড়ে তুলেছিল। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সে এক সময়ের অধুনালুপ্ত এনডিপির ক্যাডার ছিল।

রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ জানান, স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন দুর্গম টিলার পাদদেশে দুয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারের বসতি রয়েছে। এই ঘটনায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতারের পর ডাকাত আলমকে জিজ্ঞাসাবাদে সে একেক সময় একেক রকম তথ্য দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওডি/ এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড