খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা গ্রামের আবু মুহাম্মদ আসসাওয়াদফি আল ফিকাহ নামের এক ব্যক্তি মিশর থেকে ২০১১ সালে একটি ত্বীন ফলের গাছ নিয়ে আসেন। গাছটি বটিয়াঘাটার জলমার দাওয়াতুল খাইর কমপ্লেক্স পরিচালিত সোসাইটি অব সোশ্যাল রিফর্ম স্কুলের আঙিনায় রোপণ করা হয়।
অনেক দিন ধরেই গাছটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক ছুটে আসেন। কারণ এই সেই ত্বীন গাছ যার নামে পবিত্র কুরআনে একটি সূরা নাযিল হয়েছে। এই ত্বীনের নামে মহান আল্লাহ তায়ালা শপথও করেছেন। তাই মুসলমানদের কাছে এই ত্বীন গাছ ও এর ফল একটু ভিন্ন অর্থ বহন করে। সূরার প্রথম শব্দ ত্বীন অনুসারে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে- সূরা আত-ত্বীন। ত্বীনের বাংলা অর্থ আঞ্জীর বা ডুমুর। মিশরসহ আফগানিস্তান, সৌদি আরব, কুয়েত ও পর্তুগাল পর্যন্ত এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে।
সোসাইটি অব সোশ্যাল রিফর্ম স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, সোসাইটি অব সোশ্যাল রিফর্ম স্কুলের আঙিনায় গাছটি রোপণ করেন দাওহাতুল খাইর কমপ্লেক্স-এর পরিচালক সুফি সালাইমান মাসুদ। ত্বীন গাছকে দেখতে অনেকেই আসছেন। গাছটিতেও ফলও ধরেছে। গাছটির ফল আমি খেয়েছি। এটি অনেক সুস্বাদু। ফলের আকার ডুমুরের চেয়ে বড়, খেতে মিষ্টি ও রসালো বলে জানান তিনি। বিশেষ করে যখন ফল ধরে তখন স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাসহ দর্শনার্থী বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এ গাছ বাংলাদেশে এই একটিই আছে। মরুভূমির এই গাছ বাংলাদেশের বেড়ে ওঠায় আরও বেশি ভিড় জমার কারণ হিসেবে দেখছে কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, কুরআনের ৩০তম পারার ৯৫ নম্বর সূরার প্রথম আয়াত ‘ওয়াত্তীনি ওয়াযাইতূনি’। বর্ণিত সূরায় আল্লাহ তায়ালা ত্বীন গাছের নামে শপথ করেছেন।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড