ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীল মাঝে অবস্থিত মাঝের চরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ১নম্বর যুগ্ম সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম নকীব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, শুকনো খাবার বিতরণ করেন। কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিনসহ জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকবৃন্দ।
কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকীব বলেন, কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকাটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ঝড় জলোচ্ছ্বাস এখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে এখানে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাঝের চরে। চরের যে সব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের একটি তালিকা করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই চরে যে সব কৃষক চাষাবাদ করছে তারা বেশির ভাগই এনজিওসহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে দেনা করে ফসল উৎপাদন করে। কিন্তু ঝড়ে ফসল নষ্ট হওয়ায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যদি সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে তারা পুনরায় ফসল উৎপাদন করতে পারবে। এই জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে সু-দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।
সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন, ভোলা সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকাটি মেঘনার মাঝখানে হওয়ায় এখানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারের মাঝে বরাদ্দকৃত ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি তালিকা করে সরকারিভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড