• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নোয়াখালীর মুছাপুর ক্লোজার যেন ‘মিনি কক্সবাজার’ 

  আরিফ সবুজ, নোয়াখালী

১১ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৪৬
দক্ষিণাঞ্চলের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে
দক্ষিণাঞ্চলের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে (ছবি : দৈনিক অধিকার)

মেঘনার কোল ঘেষে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ছোট ফেনী নদীর তীরে নির্মিত মুছাপুর ক্লোজার এখন ‘মিনি কক্সবাজার’ পরিচিতি লাভ করেছে। ইতোমধ্যে এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

নতুন কোনো দর্শনার্থী এখানে আসলে প্রথম দেখাতে তার মনে হবে এটাই বুঝি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কিছুক্ষণ পর তার ভুল ভাঙবে। খুঁজে পাবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ। এজন্যই অনেকে এটাকে ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে অবহিত করে থাকেন।

নদীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য, নৌকা ভ্রমণের অসাধারণ আনন্দঘন অভিজ্ঞতা, সকালের শান্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ, রাখাল ও মাঝির গান, পাখির কলতান, জেলেদের মাছ ধরার উৎসব, গরু-মহিষ-ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখির সৌন্দর্য ও বিকালের হিমেল হাওয়া, ক্লোজারে আছড়ে পড়া ঢেউ, জোয়ার-ভাটা দর্শনার্থীরা মুগ্ধ না হয়ে পারে না।

এছাড়া বনের ভেতরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান এবং নিজস্ব মোটরবাইকে চড়ে আনন্দ-উল্লাসে ক্লোজার ও ক্লোজার সংলগ্ন মুছাপুর ফরেস্ট দেখতে আসেন বিনোদনপ্রেমী হাজারো মানুষ। কেউ স্বপরিবারে কেউবা আবার বন্ধুদের বিশাল বহর নিয়ে এখানে ঘুরতে আসেন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা থেকে বাংলাবাজার হয়ে চৌধুরীবাজার পার থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে চার রাস্তার মোড় দিয়ে পূর্বদিকে জনতা বাজার, এরপর দক্ষিণে দেড় কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে একটু পূর্বে গেলেই মুছাপুর ক্লোজার।

এ যেন মিনি কক্সবাজার (ছবি : দৈনিক অধিকার)

প্রতিদিন ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান এখানে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও ছুটে আসছেন অনেকেই। তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে নিরাপত্তা ও যাতায়াতের।

নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে আসা হাসান হৃদয় নামে এক পর্যটক জানান, এখানকার রাস্তা সংকীর্ণতার কারণে যানজটের তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়। তাছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের ভালো ব্যবস্থা নেই। যদিও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। একই অভিযোগ করেন, সোহাগ, লিপি, খালেদসহ কয়েকজন দর্শনার্থী।

সরেজমিনে গিয়ে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সময়ে দর্শনার্থীর ভিড় কম থাকায় কর্তৃপক্ষের কেউ এখানে তেমন আসেন না।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৮ মার্চে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মুছাপুর রেগুলেটর নির্মাণ কাজ উদ্ভোধন করেন। পরে কয়েক দফা বরাদ্দ বাড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডেরেউদ্যোগে ক্লোজারটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ জানান, ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এই ক্লোজার।

ওডি/ এফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড