বাগেরহাট প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সকাল থেকে বাগেরহাটে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত জারির পর জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা থেকে আতঙ্কিত হয়ে লোকজনেরা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে শুরু করেছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ১০ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারির পর জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল ও মোংলা উপজেলায় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাগুলো থেকে জনসাধারণদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা। জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুর্গতের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় মাইকিং করে সর্তক করা হচ্ছে।
এ দিকে, বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নেওয়া লোকজনদের জন্য শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যার ধারণ ক্ষমতা ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৫ শত ৫৫ জন। সঙ্গে ১০টি মেডিকেল টিম, রেডক্রিসেন্ট, স্কাউটস, সিভিল ডিফেন্স, আনসার ভিডিপি, গ্রাম পুলিশের সদস্যসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে জেলার শরণখোলায় ৬শ, মোড়েলগঞ্জে ৪শ, রামপালে ৫শ ও মোংলা উপজেলায় ৬শ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রাথমিকভাবে সরবারহ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ ও চাহিদা অনুযায়ী স্ব-স্ব উপজেলা থেকে খাবার সরবরাহ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে জেলা সদরসহ সকল উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত খাবার, সাইক্লোন শেল্টার, মেডিকেল টিম, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে।
অপরদিকে, ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত জারির পর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে অবস্থান করা দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে পশুর চ্যানেলে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন ও নির্গমনও। এছাড়া মোংলা পৌর কর্তৃপক্ষ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে এম,টি সুন্দরবন, এম,টি শিপসা ও এম,টি অগ্নিপ্রহরী নামের ৩টি উদ্ধারকারী জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে কামরুজ্জামান, মুনসুর আলী, স্বাধীন বাংলা, সোনার বাংলা ও অপারেজয় বাংলা নামে ৫টি উদ্ধারকারী জাহাজ।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড