• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

  নাটোর প্রতিনিধি

০২ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:০৯
নিহত
নিহত তাসলি ও তার স্বামী মনিরুলের আইডি (ছবি : দৈনিক অধিকার)

নাটোরের বড়াইগ্রামে যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মনিরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম উপজেলার বাটরা গোপালপুর গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।

৫২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (২ নভেম্বর) ভোরে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। পরে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ দুপুরে তাসলির মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত গৃহবধূ তাসলি বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৪ মাস আগে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাসলির। বিয়ের পর তাসলির শ্বশুরবাড়ির লোকজন দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং সেই টাকা গোপনে শাশুড়ির কাছে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু এই টাকা দিতে অস্বীকার করে তাসলির পরিবার।

এ দিকে, তাসলির স্বামী মনিরুল ইসলাম বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন। এই সুবাদে বিয়ের তিন মাস পর থেকেই স্বামী মনিরুলের সঙ্গে নিহত তাসলি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিন্তু যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য পরবর্তীতে মনিরুলের চাচাতো ভাই শাহাদৎ হোসেনের প্ররোচনায় তাসলিকে তার বাবার বাড়ি জোয়াড়ি গ্রামে পাঠিয়ে দেয় মনিরুল।

এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মনিরুল শ্বশুরবাড়িতে এসে তাসলিকে টাকা দিতে বলে। এতে স্বামীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাসলিকে মারধর করে মনিরুল এবং পরে গলায় রশি দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরপর তাসলি মারা গেছে এই ভেবে মনিরুল জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়।

পরে পরিবারের লোকজন তাসলিকে উদ্ধার করে প্রথমে বনপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ হাসপাতালে গলায় অপারেশন করার পর শনিবার ভোরে তাসলির মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে তাসলির স্বামী পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি শুনেছি আমার স্ত্রী মারা গেছেন। তবে, আমার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়।’

এ দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে নাটোরের সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা-তুজ-জোহরা ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড