প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কিছু দিন পরই অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষার ১০ দিন আগে প্রার্থীর নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি জানানো হবে। তাই এখন থেকেই নিতে হবে প্রস্তুতি।

বিগত বছরের নিয়মানুসারে এবারও ৮০ নম্বরের লিখিত ও ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে মোট ৮০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে।

বাংলা অংশে থাকবে ২০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। নিয়োগ পরীক্ষার বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। প্রতিটি অধ্যায় গুরুত্ব সহকারে ভালোভাবে পড়লে বাংলা অংশে ভালো করা যায়।

গণিতে বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীই খারাপ করে। এ অংশে ভালো করতে হলে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত গণিত বিষয়ের বিভিন্ন অধ্যায় বারবার চর্চা করতে হবে। পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি অংশে ভালো করতে হলে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো পড়তে হবে। এ অংশ থেকে ২০টি উত্তর করতে হয়।

ইংরেজিতে প্রশ্ন থাকে মোট ২০টি, যার বেশির ভাগই মৌলিক অধ্যায়গুলো থেকেই থাকে। ইংরেজিতে ভালো করার সহজ উপায় হলো গ্রামারগুলো সম্পর্কে ভাল জ্ঞান। মূলত গ্রামার থেকেই বেশির ভাগ প্রশ্ন পাওয়া যায়। তাই এ অংশের ওপর দিতে হবে বাড়তি গুরুত্ব। খুব মনোযোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো পড়তে হবে। সাহিত্য অংশে ভালো করার জন্য দেশি-বিদেশি লেখকদের সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান অংশে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। বিগত বছরের প্রশ্ন, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। এ অংশে ভালো করতে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, রাজনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ইত্যাদি সম্পর্কেও ভালো ধারণা রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সাধারণ জ্ঞানের বই পড়ে তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে, এতে উত্তর করা সহজ হবে।

নিশ্চিত না হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এর মানে, ৪টি ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে। বিষয়টি ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২০ নম্বরে। প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ৫ নম্বর, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে ৫ নম্বর এবং বাকি ১০ নম্বর থাকবে প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, বাচনভঙ্গি, উচ্চারণের ওপর।

পাশাপাশি প্রার্থীর নিজ জেলা বা উপজেলার আয়তন, জনসংখ্যা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, রাজনীতি ইত্যাদির ওপর দখল থাকতে হবে। এতে মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করা যাবে।