• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

'স্রেফ বলেছি, হৃদয় উজাড় করে খেলতে, দেশের জন্য খেলতে'

  অধিকার ডেস্ক    ২৩ জুলাই ২০১৮, ১১:৫৯

মাশরাফি বিন মুর্তজা

কী এমন জাদু করলেন মাশরাফি, যাতে হুমড়ি খেয়ে পড়া দলের এই আকাশে ওড়ার পারফরম্যান্স? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে লজ্জার হার। বাজে খেলেছে বাংলাদেশ। টেস্টে এমন হারের পর ওয়ানডেতে ভালো কিছু করবে এমন আশা রাখেনি কেউই। কিন্তু একজন যে আছেন অভিভাবক হিসাবে দলের সাথে। তার অধীনেই ওয়ানডেতে টাইগারদের সাফল্য এসেছে। তিনি আর কেউ নন, নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার অধীনেই ক্যারিবিয়দের ৪৮ রানের হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে বাংলাদেশ।

তবে শুধু দলেরই নয়, মাশরাফি এবার পাল্টে দিয়েছেন পুরো ক্রিকেট অঙ্গনের পরিবেশই। অধিনায়ক হিসাবে তার বিচক্ষণতা আর এই বয়সে এসেও দুর্দান্ত ধারাল বোলিং বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে স্বস্তির এক জয়। ফলে সফরকারীরা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।

টেস্টে হারের পর ৫০ ওভারের খেলায় টাইগারদের এমন আকাশ ছোঁয়া সাফল্য কিভাবে এসেছে? ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নে ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘বিশেষ কিছু বলিনি। স্রেফ বলেছি, হৃদয় উজাড় করে খেলতে, দেশের জন্য খেলতে। (টেস্ট সিরিজে) যা হয়েছে, তা তো হয়ে গেছেই। এটা নতুন সিরিজ। শুরুটা ভালো করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’

২০১৫ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি উইন্ডিজ। রবিবার দীর্ঘ বিরতির পর ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দু'দল। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই গায়ানাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মহাকাব্যিক এক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে এসে দলের দুঃসময়ের ফাঁড়া কাটান জয়টিও একই ভেন্যুতে। মাশরাফি জানালেন, গায়ানার উইকেটে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে বাংলাদেশ, ‘২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় এখনও মনে আছে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলছি। এখানকার উইকেট আমাদের ধরনের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়।’

আরও পড়ুন-

ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদশ

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই বিজয়কে হারায় দল। বাংলাদেশ দলের হাল ধরেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ২০৭ রানের এক দারুণ ইনিংস উপহার দিয়েছেন দলকে। দ্বিতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দীকি ১৬০ রান করেছিলেন। আর তাই অধিনায়কের কণ্ঠে উঠে এসেছে, ‘ব্যাটিং আজ শুরুতে চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু তামিম ও সাকিব দারুণ ব্যাট করেছে। সুরটা বেঁধে দিয়েছে। শেষে মুশির ছোট্ট ইনিংসটি ছিল অসাধারণ।’

ভালো ব্যাটিং করার পাশাপাশি বোলিং করেও সফল টাইগাররা। উইন্ডিজকে যথারীতি রানের চাপে পেলেছে দল। দুই বিপজ্জনক ওপেনার ক্রিস গেইল ও এভিন লুইসকে ফিরিয়ে ভালো শুরু সম্ভব হয়েছে। মাশরাফিও জানালেন তা, ‘আমরা জানতাম, শুরুতে ভালো বোলিং করলে এখানে ২৮০ রান তাড়া করা কঠিন। আমাদের চাওয়া ছিল গেইল ও লুইসকে দ্রুত ফেরানো। সেটি হয়েছে। এরপর আমরা চাপটা ধরে রেখেছি।’

৪৮ রানে ক্যারিবিয়দের হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ দল। জিনেদের এমন সাফল্য বজায় থাকবে বলে আশা রাখেন মাশরাফি। তার প্রত্যাশা, দল ধরে রাখবে এর ধারাবাহিকতা, ‘আজ ঠিক সেটাই হয়েছে। আশা করি এই পারফরম্যান্স আমরা ধরে রাখতে পারব।’