• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করলেন দুই শিক্ষক 

  নীলফামারী প্রতিনিধি

১৩ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৫৮
নীলফামারী
নীলফামারী

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদুল ইসলাম ডিপিএডে থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে স্লিপের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে।

জানা গেছে, চলতি বছরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবেদুল ইসলাম ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন (ডিপিএড) করতে নীলফামারী প্রাইমারী টিসার্চ ট্রেনিং সেন্টারে চলে যায়। সেখানে থাকাকালীন সময়ে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) কাজের বরাদ্দ আসলে প্রধান শিক্ষক আবেদুল ইসলাম সুকৌশলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মায়া রানীর মাধ্যমে স্লিপের টাকা উত্তোলন করে নামে মাত্র কিছু কাজ করে সমস্ত টাকা তারা দুজনে ভাগাভাগি করে নেন।

শনিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সুমী আক্তার দুপুর ২টার আগে বাড়ীতে চলে গেছে। সাংবাদিকরা স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে তিনি দৌড় দিয়ে আবার স্কুলে চলে আসে। স্কুলের সকল শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে স্লিপের প্লান দেখতে চাইলে তিনি স্কুলের প্লান প্রধান শিক্ষকের বাড়ীতে নিয়ে গেছেন বলে সাফ জানিয়ে দেন।

প্রধান শিক্ষকের বাড়ীতে স্লিপের প্লান কেন? জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আমাদের স্কুলের স্লিপের কেনাকাটা করেছেন। তিনি স্লিপের প্লান তার সঙ্গে রেখেছেন।’

প্রধান শিক্ষক কোথায় আছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘উনি (ডিপিএড) ট্রেনিং আছেন। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ফোনে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আপনি জানার কে? আপনি কি আমার বস যে আপনাকে তথ্য দিতে হবে।’

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে স্লিপের কি মালামাল ক্রয় করেছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সব মালামালের বিষয়ে হেড স্যার জানেন। আমি কোন তথ্য দিতে পারবো না।’

স্কুলের ছাত্র ছাত্রী হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকা সুমী আক্তার বলেন, ‘হাজিরা খাতা স্কুলে রাখি না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন,স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের টিফিনের বিস্কুট ব্যাগে করে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। ফলে তারা ছাত্র ছাত্রীদের হাজিরা খাতা স্কুলে রাখেন না। আর বিস্কুটের তালিকা পূরণ করে তারপর হাজিরা খাতায় নাম তোলেন।’

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে জানান।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড