টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আছিয়া খাতুনের বয়স তখন ১৫ ছুঁয়েছে। বন্ধকুলিয়া গ্রামের আছিয়াকে ফুলফোটার আগেই সাজাতে হয়েছে পুজোর সাঁঝি। বিয়ে হয় তৌহিদ হাসান রিপনের সঙ্গে। এক বছর আগে টাঙ্গাইলের মেয়ে ১৮ বছরের গৃহবধূ আছিয়া পরকীয়া প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়ে। অবশেষে রমণী আছিয়া আবার ফিরে এসেছেন তার চিরচেনা গ্রামে। সবকিছুই ঠিক আছে শুধু আছিয়ার কোলের শোভা বাড়িয়েছে তিন মাসের শিশু সন্তান। ঘটনা এমন যে, আছিয়া পালিয়েছে একা কিন্তু বাড়ি ফিরেছে শিশু সন্তান কোলে নিয়ে...
তবে এ ফিরে আসা তিন বছর সংসার করা স্বামীর ঘর কিংবা বাবার বাড়িতে নয়, এসেছেন প্রেমিক জুবায়েরের ঘরে। যার হাত ধরে তিনি ঘর ছেড়ে ছিলেন। আছিয়া একা পালিয়ে গেলেও এবার তিনি একা আসেনি। সঙ্গে এনেছেন একটি শিশু সন্তান। শিশু সন্তানটির বাবা নাকি প্রেমিক জুবায়ের।
এর আগে আছিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর আছিয়ার ভাই তার স্বামী রিপনের বিরুদ্ধে খুন, গুমের অভিযোগ এনে মামলা করেন। বসে থাকেন না স্বামী রিপনও। তিনিও তার স্ত্রীকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘাটাইল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে উপজেলার বন্ধকুলিয়া গ্রামের মৃত কাজী ফজলুর রহমানের ছেলে কাজী তৌহিদ হাসান রিপনের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার সাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ কারীর মেয়ে আছিয়া খাতুনের। বিয়ের পর বেশ ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন আছিয়া। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ঘটনার একদিন পর স্বামী রিপন ঘাটাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এরই মধ্যে গত কয়েকদিন আগে আবির্ভাব হয় আছিয়ার। প্রেমিক জুবায়েরের বাড়ি উপজেলার কাশতলা (সাতাইপাড়া) গ্রামে তার দেখা মেলে। শিশু কোলে আছিয়াকে দেখে জুবায়েরের বাড়ির লোকজন প্রথমে মনে করেছিলেন হয়তো ছেলের সঙ্গে বেড়াতে এসেছে। কিন্তু আছিয়াকে জুবায়ের বিয়ে করেছে জানতে পেরে পরিবারসহ বাড়ির সবাই হতবাক।
আছিয়া খাতুন বলেন, আগের স্বামী রিপন আমাকে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করতেন। এ কথা আমি কাউকে বলিনি। এ অবস্থায় একদিন মোবাইলে জুবায়েরের সঙ্গে পরিচয় হয়। গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক।
প্রেমের টানে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে আসি কালিহাতী। জুবায়েরকে জানাই আমি সব ছেড়ে চলে এসেছি। এরপর সেখান থেকে তার হাত ধরে বগুড়ায় চলে যাই। সেখানে দূর সম্পর্কীয় এক আত্মীয় সবুজের বাসায় দুই মাস থেকেছি। পরে বগুড়া নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বগুড়া থেকে চলে এসে আমরা বাড়ির কাছে হামিদপুর বাজারে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করি। আমি আমার পরিবারের সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
জুবায়েরের বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, আমার ছেলে হামিদপুর বাজারে রং মিস্ত্রির কাজ করে। বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানেই থাকে। সে যে বিয়ে করেছে এ কথা বাড়ির কেউ জানে না। ছেলেও আমাদের কিছু বলে নাই। এমনকি এলাকাবাসীও জানেনা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড