মো. জিয়াউর রহমান, নেত্রকোনা
নেত্রকোণা পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বলাইনগুয়া এলাকায় সরকারি রাস্তা দখল করে রাতারাতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন বলে মেজবাউল ইসলাম নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকালে একই এলাকার বাসিন্দা মো. কামরুজ্জামান বাদি হয়ে নেত্রকোণা পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খানের বরাবর এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গত প্রায় ৮ বছর আগে পৌর শহরের বলাইনগুয়া এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুলের কাছ থেকে ১০০ খতিয়ানের ১১৫ নম্বর বিআরএস দাগমূলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মেজবাউল ইসলাম ৫ শতাংশ জায়গা খরিদ করেন এবং একই দাগে গোলাম রসুলের ভাগ্নে মঞ্জিল মিয়ার কাছ থেকে আরও ৩ শতাংশ জায়গা খরিদ করেন অভিযোগকারী কামরুজ্জামান।
কিন্তু জায়গার সাবেক মালিকগণ ওই দুই ব্যক্তির কাছে জায়গা বিক্রি করার সময় তারা পৌরসভার নিয়মানুযায়ী দুই সীমানার মাঝখান দিয়ে লোকজনের চলাচলের জন্য ৮ ফুট প্রস্থে রাস্তার জায়গা রেখে ওই দুই ব্যক্তির কাছে সাফ কাওলা দলিল মূল্যে মোট ৮ শতাংশ জায়গা বিক্রি করেন। এরপর থেকেই তারা নিজ নিজ জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন এবং ওই ৮ ফুট রাস্তা দিয়ে এলাকার লোকজন চলাচল করে আসলেও গত প্রায় ৫-৬ মাস আগে থেকেই মেজবাউল ইসলাম ওই ৮ ফুট রাস্তার জায়গা তার দখলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালান।
কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে তার এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। গত শুক্রবার রাতে তারই প্রতিবেশী কামরুজ্জামান বাসায় না থাকার সুযোগে সাবেক সেনা সদস্য মেজবাউল ইসলাম রাতারাতি ওই রাস্তার জায়গা দখল করে সেখানে তিনি ১০ ফুট উঁচু একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। রবিবার বিকালে প্রতিবেশী কামরুজ্জামান বাসায় গিয়ে ওই রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়টি দেখতে পেয়ে সোমবার বিকালে এ বিষয়ে পৌর মেয়র বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক সেনা সদস্য মেজবাউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত ০১৭১০-৭৮৭১৭৯ নম্বর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি নামাজে রয়েছেন বলে তার স্ত্রী রীমা আক্তার ফোনটি ধরেন এবং তিনি সরকারি রাস্তা দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল সাহেবকে জানিয়েই আমরা নিজেদের জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করেছি।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন শেখ সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে মেয়র মহোদয় ঢাকা থেকে আসার পরই আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খান জানান, আমি এখন ঢাকায় আছি। তবে কর্মস্থলে গিয়ে অভিযোগটি দেখার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড