• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হারের কারণ জানালেন মাশরাফি

  অধিকার ডেস্ক    ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৪৩

মাশরাফি বিন মর্তুজা
মাশরাফি বিন মর্তুজা; (ছবি : সংগৃহীত)

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ২৫৫ রানের পুঁজিটা খুব বড় ছিল না। তবে বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালেন শাই হোপ। বলতে গেলে একাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেনে নিলেন এই ওপেনার। মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার ১৪৬ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে ক্যারিবিয়রা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে পাওয়েলের দল। ফলে সিলেটের ওয়ানডেটিই হয়ে গেল সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেছেন হোপ। সপ্তম উইকেটে কিমো পলকে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিনি। যে জুটিতে পলের অবদান ছিল মাত্র ১৮ রান। ১৪৪ বলে ১২ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১৪৬ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন হোপ। তার ব্যাটিং অবদানেই জিতেছে ক্যারিবিয়রা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতেই মাশরাফির সামনে প্রথম প্রশ্ন হারের কারণ কী? জবাবে দিতে গিয়ে দুইটি কারণ চিহ্নিত করে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যাটিং-বোলিং দুটোই দায়ী। ব্যাট হাতে আমরা ১৫ থেকে ২০ রান কম করেছি। তামিম, সাকিব ও মুশফিক ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেনি। সাকিব আর মাহমুদউল্লাহ যদি আরও ৬ থেকে ৭ ওভার ব্যাটিং করতে পারতো, আমাদের রান ২৭০ থেকে ২৮০ হতো।’

রান যাই হোক, ফিল্ডিংয়েও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তিনটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। আর ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’ কথাটা বহুদিন ধরেই প্রবাদ বাক্য হয়ে আছে। সেটিও শিকার করলেন অধিনায়ক, ‘ফিল্ডিংয়ে অবশ্যই ক্যাচ মিসের কারণে ভুগতে হয়েছে। কিমো পলের ক্যাচ দুটো পর পর মিস হয়েছে। না হলে হয়তো কেমার রোচ উইকেটে আসত। তখন ওদের রানের চাকা সচল রাখা কঠিন হয়ে যেত।’

ম্যাচের উত্তেজনা শেষ ওভারে গিয়ে দাঁড়ায়। উইন্ডিজকে জিততে শেষ ওভারে ৬ রান করতে হতো আর বাংলাদেশকে ৬ রান ঠেকাতে হতো। খুব একটা সহজ ছিল না কাজটা। কঠিন দায়িত্ব দেওয়া হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। যেখানে রুবেলের হাতে আরও এক ওভার ছিল। এমন সময় কেন অনিয়মিত বোলারের হাতে বল তুলে দেওয়া হলো, মাশরাফির জবাব, ‘রুবেল আগের ওভারে ১০ রান দিয়েছে। একজন থিঁতু হওয়া ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকলে পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করা সহজ হয়। আর স্পিনারের বলে শট খেলে রান নিতে হয়। তখন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই চিন্তা থেকেই মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনা।’