• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শুরুতেই দুই উইকেট শেষ বাংলাদেশের

  অধিকার ডেস্ক    ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:০৪

বাংলাদেশ
ছবি : ইন্টারনেট

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ স্কোর: ২৬/২ (৫.২ ওভার) (মুমিনুল হক ৮*, মোহাম্মদ মিঠুন ৪*)।

জোড়া ধাক্কায় শুরু বাংলাদেশের

রানের খাতায় মাত্র ২ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে গেছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। খেলা শুরুর দ্বিতীয় ওভারে জোমেল ওয়ারিকান বলেই ফিরলেন তিনি। সোজা বোল্ড হন ইমরুল।

তৃতীয় ওভারের আউট সৌম্য সরকার! রোস্টন চেজের বলে স্লিপে ক্যাচ আউট হন তিনি। শুরুতেই দুই উইকেট নেই বাংলাদেশের! চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনেও ব্যর্থ ছিলেন সৌম্য। তৃতীয় দিলেও একই চিত্র তার ব্যাটিংয়ে! ১০ বলে ১১ রান করে সাজঘরে এই ওপেনার!

নাঈমের ৫ উইকেট, বাংলাদেশের লিড ৭৮

বাংলাদেশের ৩২৪ রানের জবাবে ২৪৬ রানে অল আউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শেন ডোরিচ। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের মূল্যবান লিড পেয়েছে বাংলাদেশ।

অভিষেক টেস্টেই নাঈমের পাঁচ উইকেট

অভিষেক টেস্টেই বাজিমাত করেছেন নাঈম হাসান। চট্টগ্রামে চলমান বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অনন্য এক রেকর্ড বাংলাদেশের এই তরুণ স্পিনারের সঙ্গী হয়েছে।

অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট দখল করা বাংলাদেশি বোলারদের তালিকায় নিজের নাম যুক্ত করেছেন তাইজুল। নাঈমের আগে ৬ বাংলাদেশি বোলার অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট পাওয়ার কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছেন। এই তালিকায় তাই সপ্তম বোলার হিসেবে স্থান পেয়েছে নাঈমের নাম।

ইনিংসের ৬১তম ওভারে নাঈমের দ্বিতীয় বলে আউট হন ওয়ারিকান। দারুণ বোলিং ঘূর্ণিতে আউট হয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান। ২৬ বলে ১২ রান করে ফিরে গেছেন তিনি।

মুমিনুলের ক্যাচ মিস

জোমেল ওয়ারিকান সুন্দর জীবন পেয়েছেন। ইনিংসের ৫৬তম ওভারের মেহেদী হাসান মিরাজের করা প্রথম বলটিতে ক্যাচ ওঠে। ডানহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে ঠিকমতো খেলতে পারেননি ওয়ারিকা। শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা মুমিনুল হকের কাছে বলটি গেলে বলে হাত ছোঁয়ালেও তালুবন্দি করতে পারেননি। তখন ৬ রানে ব্যাট করছিলেন ওয়ারিকান।

এক ওভারে জোড়া শিকার নাঈমের

অভিষেকে উজ্জ্বল নাঈম হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরে হানা দেন তিনি। একাই শিকার করেন চার উইকেট। ইনিংসের ৫৩তম ওভারের তৃতীয় ও শেষ বলে ক্যারিবিয়নদের দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নেন। দেবেন্দ্র বিশু (৭) ও কেমার রোচ (২) রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন। তার (নাঈম) বোলিংয়ে ক্যারিবিয় শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

চোখ রাঙানো হেটমায়ারকে ফেরালেন মিরাজ

ডাউরিচকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন হেটমায়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে ধরা দেন তিনি (হেটমায়ার)। চোখ রাঙানো এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মিরাজ।

৪২ বলে ফিফটি করেছিলেন হেটমায়ার! একে একে টাইগারদের সব বোলারদের ব্যাট হাতে জবাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু ফিফটির কিছুক্ষণ পর ৬৩ রানে ফিরেছেন হেটমায়ার। মিরাজের করা বলটি দারুণ এক ক্যাচে মুশফিকের তালুবন্দি হয়।

নাঈমে হায় হায় অবস্থা উইন্ডিজদের

অভিষেক ম্যাচে জোড়া আঘাত নাঈম হাসানের। আগের ওভারে ক্যারিবিয়দের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। মাঝে এক ওভার বিরতির পর এসে আবারও হানা দেন উইন্ডিজ শিবিরে।

সুনীল আমব্রিসকে ফিরিয়েছেন নাঈম। টার্ন পাচ্ছিলেন বোলিংয়ের শুরু থেকেই। রোস্টন চেজকে ৩১ রানে ফিরিয়েছিলেন যেভাবে একই কায়দায় বল করেছেন আমব্রিস। চেষ্টাও করেছিলেন বলটি পা বাড়িয়ে দিয়ে মোকাবেলা করতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বলটি গিয়ে সোজা প্যাডে লাগে আর সঙ্গে সঙ্গেই জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ।

এমবিডাব্লিওতে সাড়াও দেন আম্পায়ার। আউট দিয়েছিলেন, কিন্তু ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানরা রিভিও নেন। সেখানে দেখা যায় আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল। ফলে ৬৯ বলের দেখায় ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন আমব্রিস।

অভিষেক ম্যাচে উইকেট পেলেন নাঈম

চেইস-আমব্রিসের ব্যাটে উইন্ডিজের প্রতিরোধ তৈরি হচ্ছিলো। কিন্তু অভিষেক টেস্টে উইকেট শিকার করেছেন নাঈম হাসান। এতেই ক্যারিবিয়দের প্রতিরোধ গড়া জুটি ভাঙল।

৯৩তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে নাঈমের অভিষেক হওয়া নাঈম ইনিংসের ৩০তম ওভারের প্রথম বলে শিকার করেন ক্যারিবিয়দের মূল্যবান উইকেট রোস্টন চেজকে।

নাঈমের করা বলটি হালকা টার্ন করেছিল। চেজ দেখেশুনেই খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বলটি খোঁচা লেগে ফরোয়ার্ড লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ইমরুল কায়েসের কাছে গেলে খুব সহজেই বলটি তালুবন্দি করেন এই টাইগার ওপেনার। ৪৩ বলে ৩১ রান করে ফিরে গেছেন চেজ।

সাকিবের জোড়া আঘাত

বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুর এক ঘণ্টা দেখেশুনেই খেলছিলেন। কিন্তু পানি পানের বিরতির পর এসেই ক্যারিবিয় শিবিরে হানা দেন তাইজুল ইসলাম। উইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন কাইরন পাওয়েল। ২০ বলে ১৪ রান করে ফিরে গেছেন তিনি।

এক উইকেট হারিয়ে কিছুটা ভয়ে পড়ে ক্যারিবিয়রা। দেখতে না দেখতেই আবারও উইকেট হারিয়ে বসে। এবারের তাদের শিবিরে হানা দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

ইনিংসের ১২তম ওভারে সাকিবের শিকার ক্যারিবিয়দের দুই উইকেট। সাকিবের ওভারে প্রথম বলটিতে শাই হোপ কি করবেন বুঝে ওঠার আগেই বল দারুণ সুইং করে সোজা লেগ স্ট্যাম্পে গিয়ে ভেদ করে। আউটটি ছিল অসাধারণ। ৪ বলে ১ রান করে ফিরেছেন হোপ।

এতেই ক্ষান্ত নন সাকিব। দীর্ঘ বিরতির পর দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে বল হাতেই সাফল্য পাচ্ছেন। ইনিংসের ১২তম ওভারের পঞ্চম বলেই আউট হয়ে যান ক্যারিবিয় ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ব্যাটে লেগে বল পেছনে গেলে সেখানে থাকা টাইগারদের উইকেট রক্ষক মুশফিকুর রহিম ক্যাচটি ধরতে ব্যর্থ হলেও একই ওভারের শেষ বলটিতে আর রক্ষা হলো না তার (ব্র্যাথওয়েট)।

একই কায়দায় সাকিবের করা বলটি ব্যাটে লেগে স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারের কাছে গেলে এই যাত্রায় বলটি তালুবন্দি করতে একটুও সময় নেননি বাংলাদেশের এই ওপেনার। ৪৭ বল খেলে ১৩ রানে ফিরে গেছেন ব্র্যাথওয়েট।

শুরুতেই তাইজুল-সাকিবের আঘাত

বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুর এক ঘণ্টা দেখেশুনেই খেলছিলেন। কিন্তু পানি পানের বিরতির পর এসেই ক্যারিবিয় শিরিবে হানা দেন তাইজুল ইসলাম। উইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন কাইরন পাওয়েল। ২০ বলে ১৪ রান করে ফিরে গেছেন তিনি।

রিভিওতে রক্ষা পেলেন পাওয়েল

বাংলাদেশকে ৩২৪ রানে থামিয়ে ক্যারিবিয় দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক) ও কিয়েরন পাওয়েল মাঠে নামেন। শুরুতেই আউট হয়েই গিয়েছিলেন পাওইয়েল। কিন্তু রিভিওতে শেষ রক্ষা হয় তার।

ইনিংসের চতুর্থ বলে মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলটি হালকা নিচু আঁকারে আসলে পাওয়েল দেখেশুনেই মোকাবেলা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু বলটি ব্যাটে না লেগে প্যাডে লেগে যায়। জোরালো আবেদনও করেছিলেন আম্পায়ার আউট দেন। পাওয়েল রিভিও নিলে দেখা যায় বলটি প্যাডে নয় প্রথমে ব্যাটে লেগেই প্যাডে লেগেছেন। ফলে এই যাত্রায় রক্ষা হয় তার।

৩২৪ রানে থামল বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সকাল সকাল বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত করেন জোমেল ওয়ারিকান। বোলিংয়ে এসে চার বলের মধ্যে বাংলাদেশের শেষ দুই উইকেট তুলে নিলেন তিনি।

নাঈম হাসানের (২৬) পর বাঁহাতি স্পিনার ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানকে (০)। ফলে টাইগারদের ইনিংস দাঁড়াল ৩২৪ রানে। ক্রিজে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ৩১৫/৮) ৯২.৪ ওভারে ৩২৪ (ইমরুল ৪৪, সৌম্য ০, মুমিনুল ১২০, মিথুন ২০, সাকিব ৩৪, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩, মিরাজ ২২, নাঈম ২৬, তাইজুল ৩৯*, মুস্তাফিজ ০; ওয়ারিকান ৪/৬২, গ্যাব্রিয়েল ৪/৭০, বিশু ১/৬০, রোচ ১/৬৩)।

নাঈমের বিদায়ে ভাঙল জুটি

জোমেল ওয়ারিকান বাংলাদেশের শক্ত জুটিটি ভাঙলেন। নাঈম হাসানকে ফিরিয়ে দেন ২৬ রানে। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নাঈম। অভিষেক টেস্টে দলের পক্ষে দারুণই খেলেছেন তিনি।

বাঁহাতি স্পিনার ওয়ারিকানের বলটি ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন নাঈম। স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি। প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন শেই হোপের হাতে।

তাইজুল-নাঈম জুটি কত দূর যাবে?

শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের ছোবলে ১৩ রানে চার নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে এলোমেলো হয়ে পড়া বাংলাদেশের অল আউট হওয়াটা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় দিন কাটিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।

প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩১৫/৮। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা নাঈম ২৪ ও তাইজুল ৩২ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে গড়েছেন ৫৬ রানের জুটি।

বাংলাদেশকে দ্রুত অলআউট করতে চায় উইন্ডিজ

শুরুতেই ওপেনিং জুটি ভাঙে গেলে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১৫ রান। শুরুর থাক্কা সামলে মুমিনুল একাই নিয়ে যান টাইগারদের বড় স্কোরের পথে। কিন্তু তিনিও আউট হন ১২০ রান করে। তার বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান দলের হাল ধরেলেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি।

ব্যর্থ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তেমন কিছুই করতে পারেননি। তবে নবম উইকেটে তাইজুল ইসলাম ও অভিষিক্ত নাইম হাসানের ৫৬ রানের জুটি বাংলাদেশকে তিন শতাধিক রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছে।

তাদের প্রতিরোধ গড়ার আগে ২২২ রান থেকে ২৫৯ রানে যেতেই চার-চারটি উইকেট হারায়। এক সময় মনে হয়েছিল ৩০০ রানের আগেই গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু তাইজুল-নাইমের প্রতিরোধের কারণে সেটা সম্ভব করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৮৮ ওভারে ৩১৫/৮ (ইমরুল ৪৪, সৌম্য ০, মুমিনুল ১২০, মিঠুন ২০, সাকিব ৩৪, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩, মিরাজ ২২, নাঈম ২৪*, তাইজুল ৩২*; রোচ ১৫-২-৫৫-১, গ্যাব্রিয়েল ১৮-২-৬৯-৪, চেইস ১১-০-৪২-০, ওয়ারিক্যান ২১-৬-৬২-২, বিশু ১৫-০-৬০-১, ব্র্যাথওয়েট ৮-১-১৯-০)।