• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচ : বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে টেস্ট লড়াই

  অধিকার ডেস্ক    ০২ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:১৮

স্টিভ রোডস
শিষ্যদের মাথায় কি জিম্বাবুয়ে বধের মন্ত্রই ঢুকিয়ে দিচ্ছেন কোচ?; (ছবি : বিসিবি)

ওয়ানডেতে জয়-পরাজয়ের হিসাবে জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে অনেক আগেই। তবে টেস্টের পরিসংখ্যানে এখনও টাইগাররা পিছিয়ে। শনিবার টেস্ট ভেন্যু হিসেবে সিলেটের অভিষেক হতে যাওয়া ম্যাচে তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে সফরকারীদের ছুঁয়ে ফেলার।

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে শনিবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান না থাকায় সাদা পোশাকে স্বাগতিকদের নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করায় মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসের পারদ বেশ উঁচুতে।

চলুন পাঠক, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট লড়াইয়ের পরিসংখ্যান।

বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে :

ম্যাচ :

১. ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুদল। এর মধ্যে জিম্বাবুয়ের জয় ৬টিতে। আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৫টি ম্যাচে। অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে বাকি ৩টি টেস্ট।

২. ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ৪টি জয়ের বিপরীতে জিম্বাবুয়ের জয় মাত্র ১টি টেস্টে। বাকি ২টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

৩. দুদলের সবশেষ ৪টি ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে হারারেতে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করার পর ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।

সিরিজ :

১. বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার অষ্টম টেস্ট সিরিজ মাঠ গড়াতে যাচ্ছে শনিবার থেকে। আগের ৭টি সিরিজের মাত্র ২টিতে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের জয় ৪টি সিরিজে। ড্র হয়েছে ২টি সিরিজ।

২. নিজেদের মাটিতে আগের ৩টি সিরিজের সবশেষ ২টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। আর ২০০১ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে এসে সিরিজ জিতে বাড়ি ফিরেছিল জিম্বাবুয়ে।

সাকিব-তামিমের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব সামলানো আর রান করা- দুই কাজই করতে হবে মাহমুদউল্লাহকে; (ছবি : বিসিবি)

রান :

১. দুদলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। ৮টি টেস্টে ৬১ গড়ে ৭৯৩ রান করেছেন তিনি। পরের অবস্থানে আছেন দলটির বর্তমান অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তিনিও সমান সংখ্যক ম্যাচে ৪৯.৬০ গড়ে করেছেন ৭৪৪ রান। দুজনেই হাঁকিয়েছেন ৩টি করে সেঞ্চুরি।

২. জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে চারশ’র বেশি রান করা চার ক্রিকেটার হলেন যথাক্রমে হাবিবুল বাশার সুমন (৫৭৮ রান), সাকিব আল হাসান (৪৭৪ রান), জাভেদ ওমর বেলিম (৪৪২ রান) ও তামিম ইকবাল (৪২২ রান)। এদের মধ্যে বাশার ও বেলিম অবসরে গেছেন অনেক আগেই। আর চোটের কারণে এই সিরিজে খেলতে পারছেন না সাকিব ও তামিম।

৩. বর্তমান বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক মুমিনুল হক। ৪টি টেস্ট খেলে এই বাঁহাতি ৫৩.২৮ গড়ে ১টি সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৩৭৩ রান।

উইকেট :

১. দুদলের টেস্ট লড়াইয়ে ২০ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন তিন ক্রিকেটার। সাকিব ৬টি টেস্টে খেলে সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট নিয়েছেন ২৩.২৬ গড়ে। ২১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। সাবেক জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক পেয়েছিলেন ২০ উইকেট।

২. এই সিরিজের স্কোয়াডে থাকা টাইগার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের নজির তাইজুল ইসলামের দখলে। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা বোলিং নৈপুণ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেখিয়েছিলেন তাইজুল। ২০১৪ সালে ঢাকায় ৮ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৯ রানে। সবমিলিয়ে ৩টি ম্যাচে তার অর্জন ১৭ উইকেট।