• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সাগরে নৌযানে আটকা ১২ হাজার জেলে

  অধিকার ডেস্ক

২০ মে ২০২০, ০১:৫৯
আম্ফান
আম্ফানের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় ফিরতে শুরু করেছে জেলেদের নৌকা (ছবি : সংগৃহীত)

ক্ষণে ক্ষণে ঘূর্ণিমূর্তি ধারণ করছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। সাগর উত্তাল থাকায় ফিরতে শুরু করেছে ছোট বড় নৌযান। কিন্তু এখনো ফেরেনি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের প্রায় ছয় শতাধিক নৌযান। এ সব নৌযানে রয়েছে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার জেলে। ফলে দুঃচিন্তায় রয়েছে এ সব জেলেদের পরিবার।

সাগরে থাকা নৌযানগুলোকে মঙ্গলবারের (১৯ মে) মধ্যে নোঙর করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ। তাছাড়াও সাগর থেকে ফিরে এসেছে আড়াই শতাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলারও।

অন্যদিকে, কক্সবাজারের সাগরের মাছ ধরার ছোট বড় প্রায় ৯৫ শতাংশ নৌযান ফিরে এসছে। বাকি নৌযানগুলো আসার পথে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে সকল ধরনের মাছ ধরার নৌযানগুলোকেও।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে ছোট-বড় প্রায় চার হাজার ৫২টি নৌযান রয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের পূর্ভাবাসের পর থেকে এসব নৌযান ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি যারা এখনও ফিরে আসেনি তারা মঙ্গলবার বিকেলে মধ্যে ফিরবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী।

তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের পূর্ভাবাসের পর থেকে আমরা সকল মাছ ধরার নৌযানগুলোকে ফিরে আসার জন্য বার্তা পাঠিয়েছি। অধিকাংশ নৌযানও ফিরে এসেছে। কিছু নৌযান গভীর সমুদ্রে থাকায় তারাও আসার পথে রয়েছে। আশা করছি মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সবাই ফিরে আসবে।

জেলেরা জানায়, সাগর উত্তাল এবং কয়েকদিন পর থেকে সাগরে সরকারের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় ফিরে এসেছি আমরা। যারা এখনও আসেনি তাদের ফিরে আসার জন্যও বলা হয়েছে।

জেলে মো. লোকমান বলেন, সাগরে অনেক বড় বড় ঢেউ। আমরা অনেক কষ্টে ফিরে এসেছি।

নৌ বাণিজ্য অধিদফতর চট্টগ্রামের তথ্য মধ্যে, সারা দেশে ছোট বড় প্রায় ১১ হাজার নৌযান রয়েছে। তাদের হিসেব মতে ছোট নৌযানগুলোতে ১৮ জন এবং ফিসিং ট্রলারগুলাতে সর্বোচ্চ ৩২ জন মাঝি মাল্লা থাকতে পারেন।

চট্টগ্রাম বোট মালিক সমিতির তথ্য মতে, সমিতির ছোট-বড় প্রায় তিন হাজার নৌযান রয়েছে। এ সব নৌযানের মধ্যে এখনো ২৫০টি নৌযান ফিরে আসতে পারেনি। অন্যদিকে কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির তথ্য মতে, কক্সবাজারে ছোট-বড় প্রায় সাত হাজার নৌযান রয়েছে। এর মধ্যে ৬৬৫০টি নৌযান ফিরে এসেছে। এখনো সাগরে রয়েছে ৩৫০টি নৌযান।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বোট মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, সমিতির তিন হাজার নৌযানের মধ্যে প্রায় দুই হাজার ৭৫০টি ফিরে এসেছে।বাকি নৌযানগুলোও বিকেলে মধ্যে ফিরে আসবে।

কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বলেন, কক্সবাজারের সাত হাজার নৌযানের প্রায় ৯৫ শতাংশ নৌযান ফিরে এসেছে। বাকি নৌযানগুলো ফিরে আসছে।

এছাড়াও সমুদ্র মৎস্য অধিদফতরের তথ্য মতে, চট্টগ্রামে ২৪৫টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতোমধ্যে ফিরে এসেছে ট্রলারগুলো।

এ প্রসঙ্গে সমুদ্র মৎস্য অধিদফতরের পরিদর্শক মো. মঞ্জুর আলম বলেন, আমাদের নিবন্ধিত সব ট্রলার ফিরে এসেছে।