• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মার্কিন ড্রোন ইস্যুতে জাতিসংঘে ইরানের অভিযোগ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ জুন ২০১৯, ১১:৩২
মার্কিন ড্রোন
ইরানে ভূপাতিত মার্কিন ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ। (ছবিসূত্র : রয়টার্স)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ড্রোন মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে তেহরান। দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম হোসেন দেহগনি ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ‘তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে’ এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (২৮ জুন) জাতিসংঘের কাছে করা অভিযোগে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আবারও যদি ইরানি আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, তাহলে তেহরানের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

সম্প্রতি ইরানের জাতীয় সংসদের স্পিকার আলী লারিজানি বলেছিলেন, 'আমাদের সীমান্তের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসন এড়ানোর জন্য তাদের ড্রোনটি বিধ্বস্ত করা তাদের জন্যে ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। যদি তারা আমাদের সীমানা লঙ্ঘনের ভুলটির পুনরাবৃত্তি করে তবে, ইরানের প্রতিক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।'

ইরান বলেছে, মার্কিন বিমানটি ইরানের আকাশসীমার ভেতরে ঢুকে পড়েছিল, যে অভিযোগ ওয়াশিংটন অস্বীকার করে আসছিল। এরপরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিশোধ নিয়ে ইরানে বিমান হামলার অনুমোদন দেয়। তবে, অনেক মানুষ মারা যাবে ভেবে শেষ মিনিটে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

দুই পক্ষের চরম উত্তেজনার মধ্যে ট্রাম্প ইরানকে 'বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র' বানানোর হুমকি দেয়। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, 'ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে কোনো যুদ্ধ একটা তড়িৎ যুদ্ধ হবে। যদিও তেহরানের চালানো বোমা বিস্ফোরণের পরও আমরা সামরিক সংঘর্ষ এড়াতে চাই।'

এ দিকে নিউ ইয়র্কভিত্তিক ইরানের মানবাধিকার কেন্দ্র (সিআরআরআই) বলেছে, বিশ্বজুড়ে ১১৬ জন ইরানি মানবাধিকার রক্ষাকর্মী এবং গোষ্ঠীগুলি এই দুই শত্রুর মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের 'বিধ্বংসী' পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

অপর দিকে অ্যাক্টিভিস্ট, সাংবাদিক, আইনজীবীদের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো সামরিক পদক্ষেপ লাখ লাখ সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে সহিংস সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্ম দেবে যা সাধারণ বেসামরিকদের জন্য মানবেতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে আমরাও ভীত।'

এর আগে ২০১৫ সালে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বিশ্বের পরাশক্তিদের করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে ট্রাম্প গত বছর বের হয়ে গেলে দেশ দুটির সম্পর্কের অবনতি হওয়া শুরু করে, যা এই মুহূর্তে অত্যন্ত বাজে অবস্থায় রয়েছে। চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাতে উপসাগরীয় অঞ্চলে এক যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করে।

ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান তার ইউরেনিয়াম উৎপাদনকে দ্বিগুণ করেছে এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে এটি পারমাণবিক চুক্তি দ্বারা নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে যাবে বলে ঘোষণা করে, যদি না ইইউ চুক্তিটি সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন :- ভূপাতিত মার্কিন ড্রোনের ছবি প্রকাশ করল তেহরান

অভিনব এক পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার ট্রাম্প ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কার্যালয় ও অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইরান সর্বশেষ এই নিষেধাজ্ঞাকে একটি 'নির্বোধ' পদক্ষেপ হিসাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড