• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইরানি নেতা খামেনির কার্যালয়ে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ জুন ২০১৯, ১০:৫৯
আয়াতুল্লাহ খামেনি
ইরানি শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ সাঈদ আলী খামেনি। (ছবিসূত্র : দ্য ডেইলি এক্সপ্রেস)

মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানের ওপর নতুন করে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবার কেবল ইরানের ওপরই নয়, বরং দেশটির ইসলামিক বিপ্লবের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ সাঈদ আলী খামেনির কার্যালয়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন তিনি।

কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম 'বিবিসি নিউজ' জানায়, বেশ কিছুদিন যাবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তেহরানে মধ্যকার সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। পরমাণু ইস্যুসহ নানা বিষয়ে একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও এখনই সমাধানের দিকে হাটতে নারাজ উভয় পক্ষ। যার অংশ হিসেবে নিজেদের কথা বার্তায় নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে এক দেশ অন্য দেশকে হুঁশিয়ার করছে সব সময়। যে কারণে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা ও বৈরী সম্পর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সোমবার (২৪ জুন) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, 'মার্কিন ড্রোন ধ্বংসসহ ইরানের সাম্প্রতিক সকল কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে এই অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।'

টুইট বার্তায় মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট এও বলেছেন, 'ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির কার্যালয়কে এবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ বর্তমানে সব কিছুর জন্যে একমাত্র তিনিই দায়ী। ইরানে প্রতিকূল শাসন ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু পরিচালনার অভাবে দেশটি প্রতিনিয়ত নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে যাচ্ছে; যা কখনই মেনে নেওয়ার মতো নয়।'

এ দিকে নতুন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ও দেশটির এলিট ফোর্স রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষ আট কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, 'ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটাই চায়। এটা এখন তেহরানের সবচেয়ে বড় ভাবনার বিষয়।'

অপর দিকে গত রবিবার (২৩ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের এক শীর্ষ সামরিক কমান্ডারের হুঁশিয়ার জবাবে বলেন, 'যুদ্ধ নয় বরং চলমান সংকট নিরসনে ইরানের সহায়তা চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। আমার দেশ কখনই তেহরানের সঙ্গে কোনো ধরণের যুদ্ধে জড়াতে চায় না।

ট্রাম্পের মতে, 'পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যেকোনো সংঘর্ষই অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যার ফলে অঞ্চলটিতে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের জীবন পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়বে।'

এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ছয় জাতির পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের বের করে নেন। একই সঙ্গে চুক্তিটিকে একটি অকার্যকর বলে উল্লেখ করে তেহরানের তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আরও পড়ুন :- মার্কিন সাইবার হামলা সফল হয়নি, দাবি তেহরানের

যদিও এর পরপরই এই দুদেশ মধ্যকার সম্পর্কে এক বৈরিতা দেখা দেয়, যা এখনো অব্যাহত আছে। বর্তমানে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিতের মাধ্যমে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমশ যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড