• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৭ বছর সাংবাদিক থেকে দূরে মোদী

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৩ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৩৪
৭ বছর সাংবাদিক থেকে দূরে মোদী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ছবি : এনডিটিভি)

‘প্রকৃত সমালোচকের’ অভাব বোধ করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর গেল সাত বছরে একবারও সাংবাদিক সম্মেলনে আসেননি তিনি।

বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী কখনোই নিজের বিরুদ্ধে সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। সমালোচনার কারণে অপ্রিয় প্রশ্ন শুনে অতীতে সাক্ষাৎকার থেকে উঠেও গিয়েছিলেন তিনি।

রবিবার (৩ অক্টোবর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বিরোধীদের কটাক্ষ, অপ্রিয় প্রশ্ন বা সমালোচনা শোনার ভয়েই শেষ সাত বছরে একটি বারের জন্যও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি নরেন্দ্র মোদী। তার পরিবর্তে কিছু ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডিয়াতে বসে নিজের বাছাই করা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি।

যদিও মোদীর দাবি, তিনি প্রকৃত সমালোচকদের অভাব বোধ করছেন। শনিবার (২ অক্টোবর) একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আমি সমালোচনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেই। এমনকি সমালোচকদেরও ব্যাপক সম্মান করি। কিন্তু আজকের দিনে খুব কমই প্রকৃত সমালোচক রয়েছেন। কারণ অধিকাংশ লোকই এখন অভিযোগ করে নিজেদের দায় শেষ করেন।

আরও পড়ুন : নিজের রেকর্ড ভেঙে ফের জয়ী মমতা

আগামী ৭ অক্টোবর প্রশাসক হিসাবে ২০ বছর পূর্ণ হবে নরেন্দ্র মোদীর। বিরোধীদের অভিযোগ, নিজের রাজনৈতিক জীবনে কোনোদিন সমালোচনা খোলা মনে নিতে পারেননি তিনি। তাই কেশুভাই প্যাটেল বা প্রবীণ তোগাড়িয়ার মতো নেতারা মোদীর বিরুদ্ধে সরব হতেই তাদের ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এমনকি মোদীর বিরুদ্ধে মুখ খুলে দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিং বা অরুণ শৌরির মতো প্রবীণ নেতারাও। মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দলে অপাংক্তেয় করে দেওয়া হয়েছে লালকৃষ্ণ আদভাণী, মুরালী মনোহর জোশীর মতো শীর্ষ নেতাদেরও। সেই মোদী আজ সমালোচনাকে পছন্দ করেন বলায় তাই প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় রাজনীতির নানা মহলে।

নরেন্দ্র মোদীর দাবি, সমালোচনা তার ব্যক্তিগত উন্নতিতে সাহায্য করে। তিনি খোলা মনে সমালোচকদের সম্মানও করেন। যদিও তার মতে, আজকের দিনে প্রকৃত সমালোচকদের সংখ্যা অল্প, কারণ অধিকাংশই কেবল অভিযোগ তুলতে ব্যস্ত। যা শুনে বিরোধীদের প্রশ্ন, সমালোচনা যখন শুনতে পছন্দ করেন, তখন বিরোধী ও সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি কেন হন না প্রধানমন্ত্রী?

আরও পড়ুন : মাদকসহ শাহরুখপুত্র আটক

সামনেই উত্তরপ্রদেশসহ ভারতের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। কিন্তু গত প্রায় এক বছর যাবত কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব ভারতের কৃষকদের একাংশ। যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে সরকার যে অস্বস্তিতে, শনিবার তা মোদীর কথাতেও স্পষ্ট হয়ে গেছে।

আন্দোলনরত কৃষকদের শুরু থেকেই সমর্থন করছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, এসপি, বিএসপির মতো দলগুলো। যদিও বিরোধীদের ওই ভূমিকার সমালোচনা করে মোদী বলেন, যারা কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন, তাদের দেখলেই অসততার ছবিটি স্পষ্ট হয়ে যেতে বাধ্য। কারণ তারাই এক সময়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে তারাও ওই আইনই আনবেন।

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে নয়, ভারতের নেতৃত্বে মমতা

মোদীর দাবি, তার সরকার ছোট কৃষকদের আয় বাড়াতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বিরোধীরা পাল্টা বলছেন, ‘বন্ধু’ ব্যবসায়ীদের একতরফা ভাবে সুবিধা করে দিতেই তাড়াহুড়ো করে কৃষি আইন কার্যকর করা হয়েছে। যার ধাক্কায় দাম বাড়ছে ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে সব কিছুরই। অথচ চাষিরা উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না বরং আর্থিক সংকটে পড়েছে সাধারণ জনগণ।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড