• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আজারবাইজানের গোলায় কারাবাখের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট নিহত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০২ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৩৫
আজারবাইজানের গোলায় কারাবাখের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট নিহত
সীমান্তে যুদ্ধরত সেনা সদস্যরা (ছবি : প্রতীকী)

বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আরায়িক হারুতুনিয়ান নিহত হয়েছেন। আজেরি সেনাদের এক বিধ্বংসী ড্রোন হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আজারবাইজানের।

দেশটির বার্তা সংস্থা ‘হাকায়িক কাফকাজ’ জানিয়েছে, কারাবাখের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হারুতুনিয়ানের সামরিক বহরে আজারবাইজান ড্রোন হামলা চালালে তিনি নিহত হন। যদিও ঘটনাটি কবে ঘটেছে এবং বাকু এ ব্যাপারে কতটা নিশ্চিত হয়েছে সে সম্পর্কে বার্তা সংস্থাটি কিছু জানায়নি।

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আর্মেনিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কারাবাখের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আরায়িক হারুতুনিয়ান এর আগে বলেছিলেন, কারাবাখের শুশা এলাকাটি আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে তিনি নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করবেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাত চলছে। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড বলে স্বীকৃত। যদিও আর্মেনিয়ার জাতিগত সম্প্রদায় কয়েক দশক ধরে ওই অঞ্চলটি দখল করে রেখেছে।

আরও পড়ুন : ইসলাম অবমাননা ইস্যুতে ভারতীয়রা কেন ফ্রান্সের পক্ষে?

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার চলমান সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য রাশিয়ার উদ্যোগে দুই দফা যুদ্ধবিরতি হয়েছে কিন্তু একবারও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এখনো শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে নাগোরনো-কারাবাখের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জালাল হারুতিয়ান মারাত্মক আহত হন। তাকে বহনকারী একটি গাড়িতে বোমা হামলার ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী।

ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, চলমান একটি গাড়ীতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গেছে। ওই গাড়ীতেই স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র কারাবাখের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন বলে দাবি করে আজারবাইজান।

আরও পড়ুন : ফরাসি গির্জার সামনে এবার যাজককে গুলি

সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে গত এক মাসের সংঘাতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে যেসব তথ্য জানানো হয়েছে তার চেয়ে পুতিনের ঘোষিত এ সংখ্যা অনেক বেশি।

তার মতে, উভয় দেশের বহু মানুষ এ সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। প্রত্যেক দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি করে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং এ সংখ্যা পাঁচ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশি-পাকিস্তানিদের অভিবাসন স্থগিতের দাবি ফ্রান্সে

আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক চুক্তি থাকার পাশাপাশি দেশটিতে রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। অন্য দিকে আজারবাইজানের সঙ্গেও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে আসছে।