আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ আর পশ্চিমবাংলার দক্ষিণাঞ্চলের সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। একাধিক জেলা ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আম্ফানের দাপটে।
বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় অঞ্চলের ৬৪তম ঘূর্ণিঝড় ছিল আম্ফান। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) জানিয়েছে আসন্ন আরেক মহাপ্রলয়ের নাম নিসর্গ।
নিসর্গ নামটি বাংলাদেশেরই প্রস্তাবিত। ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে ২০১৮ সালে তালিকায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ দেশগুলো হচ্ছে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ এপ্রিলে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের ১৬৯টি নাম প্রস্তাব করেছে।
আম্ফানের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম হবে নিসর্গ (বাংলাদেশের প্রস্তাবিত), গতি (ভারতের প্রস্তাবিত), নিভার (ইরানের প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপের প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম), ইয়াস (ওমানের প্রস্তাবিত)। গবেষকদের মতে, নিসর্গসহ পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলো আরও ভয়াবহভাবে আঘাত হানতে পারে উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে।
এর আগে ফণী ঝড়ের নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটিও প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল। আম্ফান নামটি দিয়েছিল থাইল্যান্ড। যার অর্থ আকাশ। কিন্তু সুন্দর এই নামটি এখন মানুষের দুর্বিষহ যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।