ইরানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২১০, সরকারের দাবি ৩৪ 

দ্রুত মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ২১০ জনের। তাছাড়া ২৫০ জনের অধিক লোককে এরই মধ্যে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির হাসপাতাল সূত্রের বরাতে জানানো হয়, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই রাজধানী তেহরানে এবং কোম শহরের। এই অঞ্চল থেকেই মূলত দেশটিতে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

যদিও ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, করোনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সে সংখ্যার তুলনায় এখনকার মৃতের সংখ্যা প্রায় ছয়গুণ বেশি। তবে করোনায় ২১০ জনের মৃত্যু নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের বাইরে ইরানেই এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড এটি।

চীন ছাড়াও বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে এশিয়ার দেশ পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

এমনকি সিঙ্গাপুরেও কয়েকজন বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা সকলেই বর্তমানে দেশটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : ভারতে প্যান্ট খুলে সাংবাদিকের ধর্ম যাচাই!

ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর