৩২ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর অবশেষে অস্ত্রবিরতিতে ইসরায়েল 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। যার অংশ হিসেবে গত কয়েকদিনে নারী ও শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩২ ফিলিস্তিনি। তাছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৬৯ বেসামরিক।

যদিও শেষমেশ অঞ্চলটিতে বিদ্যমান অস্ত্রবিরতি কার্যকরে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যা বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। মিশরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও ইসলামিক জিহাদের কর্মকর্তাদের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা ‘এএফপি’।

মিশরীয় ওই কর্মকর্তার দাবি, মিশর বেশ কয়েকদফা প্রচেষ্টা চালিয়ে উভয় পক্ষকে অস্ত্রবিরতি কার্যকরে সম্মত করেছে। এতে ইসলামিক জিহাদসহ ফিলিস্তিনের অন্য দলগুলো তাদের সমর্থন জানিয়েছে। যদিও ‘এএফপিকে’ ইসলামিক জিহাদ সূত্রও এই একই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে ‘মিডল ইস্ট আই’ জানায়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই হামলা এখনো অব্যাহত আছে। যাতে এখন পর্যন্ত ৩২ ফিলিস্তিনির প্রাণহানিসহ আরও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক গুরুতর আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে চালানো হামলায় নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য রয়েছেন।

যদিও ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির গণমাধ্যমগুলো জানায়, গাজা সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে ইসরায়েল। এই সেনা বহরে রয়েছে- আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইউনিটস, সামরিক গোয়েন্দা এবং হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সদস্যরা।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সেনাদের সাধারণত দেশের গুরুতর সংকট ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মোতায়েন করা হয়।

কর্তৃপক্ষের বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা ‘এএফপি’ জানায়, মঙ্গলবার অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে বোমা হামলা চালিয়ে বাহা আবু আল-আত্তা নামে ইসলামিক জিহাদের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। মূলত তখন থেকেই একের পর এক বিমান হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা।

আরও পড়ুন :- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত বেড়ে ২৬, আহত অর্ধশতাধিক

যদিও গাজা উপত্যকা থেকে এরই মধ্যে ইসরায়েলের দিকে বেশকিছু রকেট হামলাও চালিয়েছে ইসলামিক জিহাদের সদস্যরা। যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে অঞ্চলটিতে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ওডি/কেএইচআর