অধিকার ডেস্ক ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৮
মাকড়সার কথা শুনলেই ভয় পান অনেকে। কালো আর ধূসর রঙের এই প্রাণিটি তাই থাকে সবার অপছন্দের তালিকায়। তবে বিশেষ এক মাকড়সাকে দেখলে অবাক হবেন আপনি। কিছুটা সময় হয়তো দিধাদন্দে পড়ে যাবেন— এটি কী ময়ূর না মাকড়সা? কারণ তার শরীর রংধনু রঙে রাঙানো।
উজ্জ্বল রঙের ছোট্ট এই মাকড়সাদের বলা হয় ‘পিকক স্পাইডার’। তাদের দৈর্ঘ্য একজন মানুষের বুড়ো আঙুলের নখের সমান। এটি আবিষ্কার করা হয় উনিশ শতকে। অক্টেভিয়াস পিকার্ড কেমব্রিজ নামের এক কীটতত্ত্ববিদ এই অদ্ভুত মাকড়সা আবিষ্কার করেন।
ময়ূরের গায়ে যেমন বাহারি রঙা পেখম দেখা যায়, ঠিক তেমনি নকশা রয়েছে এই মাকড়সাগুলোর শরীরে। তবে নারী নয়, কেবল পুরুষ মাকড়সাদের দেহেই এমন রঙের ব্যবহার দেখা যায়। কেন জানেন?
কারণ, সঙ্গিনীর মন জয় করা। এই কাজের জন্য কেবল তাদের সৌন্দর্যই যথেষ্ট নয়। রীতিমত নেচে সঙ্গিনীর মন জয় করতে হয় তাদের।
এদের পেটে এমন রঙিন অংশ রয়েছে দুটি। বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি করে এরা রঙের বাহারে সঙ্গিনীকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। তিন থেকে পাঁচ মিলিমিটার লম্বা ওই বিচিত্র মাকড়সার সাতটি নতুন প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী।
এখন অবধি এই মাকড়সার ৪৮টি প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এদের বেশিরভাগেরই দেখা মেলে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাংশে (কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে)। তবে এই ছোট্ট পিকক স্পাইডারদের খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ এরা দ্রুত লাফিয়ে লাফিয়ে জায়গা বদল করে ফেলে।
মানুষের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয় এই নাচুনে মাকড়সাগুলো। এরা দেখতে সুন্দর, রঙিন ও আকর্ষণীয়। মনের মতো নাচ দেখিয়ে স্ত্রী মাকড়সার মন ভোলাতে না পারলে জীবন হারাতে হয় তাকে। কারণ, সঙ্গিনী মাকড়সাটি তখন পুরুষ মাকড়সাটিকে আস্ত খেয়ে ফেলে।
নাচুনে মাকড়সাগুলো মানুষের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয়। এরা সুন্দর, রঙিন এবং আকর্ষণীয়। কেউ কেউ আবার অন্য মাকড়সার সঙ্গে লড়াই করার সময়ে এই রঙের মাধ্যমে ভয় দেখাতে চায়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড