• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিক্ষা অফিসারের ভুলে বৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

  শিক্ষা ডেস্ক

০৩ মার্চ ২০২০, ১৭:৪৩
শিক্ষা অফিসারের ভুল
আক্কেলপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস (ছবি : সংগৃহীত)

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ভুলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয়রা মহা-পরিচালক বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম কাজে ভুল করায় ২০১৯ সালের প্রাথমিক সাধারণ বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়টি পৌর সদরের ০৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। তবে শিক্ষা অফিস বিদ্যালয়টিকে ৮নং ওয়ার্ডে উল্লেখ করে অধিদপ্তরে তথ্য পাঠায়। এতে স্কুলটির সাধারণ বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা।

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সাধারণ বৃত্তির ফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৩ নং ওয়ার্ডে দুইটি কিন্ডার গার্টেন এবং ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার কথা। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিস সেখানে আক্কেলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৮ নং ওয়ার্ড দেখিয়ে তথ্য প্রদান করায় ৩নং ওয়ার্ডে সরকারি বিদ্যালয়টি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এতেই বেধেছে বিপত্তি। বিদ্যালয়টির চেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়েও ওই দুই কিন্ডার গার্টেন, ফেয়ার আদর্শ স্কুল অ্যান্ড একাডেমি এবং কবি আতাউর রহমান বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়েছে।

বৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আব্দুল মোমিন বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এমন দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমার সন্তান ৫৪৯ নম্বর পেয়েও বৃত্তি পায়নি।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও এই স্কুলের ৫৫৮, ৫৪৮, ৫৪৬, ৫৩৭, নম্বর প্রাপ্তরাও বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। একই ওয়ার্ডের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি কিন্ডার গার্টেনে ৪৭৮, ৪৮০ ও ৫০১ নম্বর পেয়ে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়েছে। যদি এই বিদ্যালয়টি ৩নং ওয়ার্ডে থাকতো তাহলে প্রাপ্যতানুসারে আমার ছেলেসহ অন্যরা সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত হতো। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। প্রকাশিত ফলটি সংশোধনের জন্য আমরা মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করেছি।

আক্কেলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিবরণীতে আমি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লিখে দিয়েছি। ফরম ফিলাপের সময় উপজেলা শিক্ষা অফিস বিষয়টি ভুল করে আমার বিদ্যালয়টিকে ৮নং ওয়ার্ড দেখিয়ে অনলাইনে তথ্য পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুন : শেকৃবির ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। সাক্ষাতে কথা হবে।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড