শেকৃবি প্রতিনিধি
আবাসিক হলের সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (শেকৃবিসাস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
টুটন তার বিবৃতিতে বলেন, ২ মার্চ (সোমবার) ভোরের সেই মিটিংয়ে মারামারির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। সেই মিটিংয়ে সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরকে কোনো প্রকার মারধর বা আক্রমণ করা হয়নি। সে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে স্বেচ্ছায় এ নাটক করেছে এবং সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এইসব নাটকীয়তার মাধ্যমে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে চাচ্ছে।
সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্রনাথ টুটন ও তার অনুসারীরা আবাসিক হলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এবং কল রেকর্ড সাংবাদিকদের দেখানোর মাধ্যমে মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান দস্তগীরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুটন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলেরই নিজের মতো করে রাজনীতি করার স্বাধীনতা রয়েছে। যে কেউ নিজের পছন্দ মতো ব্যক্তির সঙ্গে রাজনীতি করতে পারে। এখানে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এই নাটকীয় ও বানোয়াট অভিযোগের মাধ্যমে মুস্তাফিজুর ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে। তাই তাকে শেকৃবি ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানাই।’
এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, জড়িত সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম সাদিদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের শাস্তির দাবিও জানান।
আরও পড়ুন : চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ৫ ও ৬ মার্চ
এর আগে গত সোমবার (২ মার্চ) ভুক্তভোগী মুস্তাফিজুর রহমান দস্তগীর জানান, ‘রবিবার রাতে ক্যাম্পাসের আঞ্চলিক গ্রুপের (কুমিল্লা বঙ্গ) হলের সিট বণ্টনের মিটিং চলাকালীন একই গ্রুপের হয়েও কেন সে সভাপতি গ্রুপের রাজনীতি করে এমন অভিযোগ করা হয়। এরপর টুটনের রুমে তার অনুসারীরা আমাকে রাত আড়াইটা থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি কাঠ দিয়ে মারধর করে। এ সময় ওই রুমে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ১৬ ব্যাচের উজ্জ্বল আমাকে প্রথমে পেটে লাথি মারে। এরপর ১৭ ব্যাচের তাশরীফ, ১৪ ব্যাচের মামুন হোসাইন (ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক উপসম্পাদক) ও সাকিব এবং ১৮ ব্যাচের রাকিব আমাকে কাঠ দিয়ে মারধর করে মুখ, হাত ও পেটে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় আমি সোমবার ভোরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড