আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৯ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় ইউরোপের দেশ ইতালি, জার্মানি ও স্পেনের পর আতঙ্কে কাঁপছে যুক্তরাজ্য। বিশেষ করে রাজধানী লন্ডনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু লন্ডনের নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথ কেয়ারেই এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমন ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেই জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) করোনায় আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে আরও এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনার থাবায় বাংলাদেশি ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দাবি চিকিৎসকদের।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের হানায় এখন পর্যন্ত ৪২২ জনের প্রাণহানিসহ ৮ হাজার ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে প্রশাসন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ লাখ ২২ হাজারের অধিক মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৮ হাজার ৮৯২ জনে পৌঁছেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
আরও পড়ুন : মোদীর ডাকে সার্ককে কোনো অর্থ দেবেন না ইমরান
বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ওডি/কেএইচআর