• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনার থাবায় পাকিস্তানে মসজিদ বন্ধ 

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৩ মার্চ ২০২০, ১৪:৪৯
করোনার থাবায় পাকিস্তানে মসজিদ বন্ধ 
মসজিদ চত্বরকে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে (ছবি : দ্য হেরাল্ড)

মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১৪ হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির আতঙ্কে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের মসজিদগুলোতে সকল ধরনের সমাগম বন্ধ করেছে প্রশাসন।

সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের জন্য রাজধানীর সকল মসজিদে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। তাছাড়া পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে মুসল্লিদের জমায়েত পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাবলীগ জামাতের বিদেশি সদস্যরা যেন আপাতত আর কোনো জমায়েত করতে না পারেন সেদিকেও নজরদারি রাখছে ইসলামাবাদ সরকার।

যার অংশ হিসেবে ভারা কাহু অঞ্চলের দুটি মসজিদকে এরই মধ্যে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার হামজা শাফকাত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তাবলীগ জামাতের কয়েকজন সদস্যের শরীরে করোনার লক্ষণ ছিল। এটা জানার পরও তারা শহরের বিভিন্ন মসজিদে ঘোরাঘুরি করেছেন। তাই তাবলীগ জামাতের লোকজন যেসব মসজিদে অবস্থান করেছেন, এখন সেগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার পর সিলাগালা করে দেওয়া হচ্ছে।

পাকিস্তানি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের থাবায় ছয়জনের মৃত্যুসহ অন্তত ৭৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৪ হাজার ৬৪৭ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : মহাবিপদের সামনে ভারত, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর