আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী ১৩ হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ভারতে ১৪ ঘণ্টার কারফিউ শুরু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রবিবার (২২ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নাগরিকদের প্রতি কারফিউ পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তখন এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সক্ষমতার মূল্যায়নে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন মোদী।
ভাষণে মোদী বলেছিলেন, সকলকে একজোট হয়ে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। মানব সভ্যতা আজ ভয়াবহ সংকটের মুখে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেও বর্তমানে দেশ অনেক বেশি হুমকির সম্মুখীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আমরা নিজেরা সংক্রমণ থেকে বাঁচব এবং অন্যদেরও বাঁচাব। এর জন্য সকল ভারতীয়র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনার থাবায় পাঁচজনের প্রাণহানিসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৮৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৩ হাজার ৫০ জনে পৌঁছেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
আরও পড়ুন : মহাবিপদের সামনে ভারত, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ওডি/কেএইচআর