• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মার্কিন নৌবাহিনীতেও করোনার থাবা : আতঙ্কে কর্মকর্তারা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২০, ১৫:২৪
মার্কিন নৌবাহিনীতেও করোনার থাবা : আতঙ্কে কর্মকর্তারা
মার্কিন বিমানবাহী রণতরী আব্রাহাম লিঙ্কন (ছবি : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট)

মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী সাত হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একজন নাবিকের শরীরে প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) মার্কিন নৌবাহিনী বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে দাবি সংবাদমাধ্যম সিএনএনের।

বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগো শহরের বাসিন্দা ওই নাবিকের শরীরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ ইতোমধ্যে তিনি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। যদিও পরীক্ষাটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। মূলত তাদের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলেই আদৌ তিনি আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব।

মার্কিন নৌবাহিনীর ওই নাবিককে এরই মধ্যে তার নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া সামরিক বাহিনীর স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তাসহ আরও যাদের সঙ্গে সম্প্রতি তিনি যোগাযোগ করেছিলেন, এবার তারাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশটিতে করোনা ভাইরাসের থাবায় এখন পর্যন্ত ৮৭ জনের প্রাণহানিসহ আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৪ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৬২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ৭ হাজার ১৬৬ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : দেওয়া হলো করোনার প্রথম ভ্যাকসিন (ভিডিও)

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর